Do You Know How Precious You Are ?

Do You Know How Precious You Are ?

 

আমাদের সমাজে এখন তরুণ জেনারেশনের মধ্যে সব থেকে বড় যে সমস্যাটি দেখা যায়, সেটি হলো হতাশা ও বিষন্নতা। তরুণরা অনেক সময় অনেক তুচ্ছ কারণেই হতাশ হয়ে পড়ে, জীবনকে তখন তাদের তুচ্ছ বলে মনে হয়। অনেকে সুইসাইড পর্যন্ত করার চেষ্টা করে, কিন্তু কেন? আমরা যদি কারণ গুলো খুঁজে বের করি তবে দেখবো, পরীক্ষায় ফেল, প্রেমে ব্যর্থতা, বাবা-মায়ের বকা, সংসারে অশান্তি, চাকরী না পাওয়া এসবই হচ্ছে প্রধান কারণ। এই কারণগুলোই আমাদের সমাজে তরুণদেরকে কুরে কুরে খাচ্ছে এবং তরুণরাও এই কারণে হতাশা ও বিষন্নতায় ভুগছে। তারা মনে করছে তাদের জীবনের আর কোন মূল্য নেই, কেউ তাদের কোন মূল্যায়ন করে না, বাবা-মা তাদেরকে ভালবাসে না, ভবিষ্যতে তাদের দ্বারা কিছুই করা সম্ভব হবে না, ইত্যাদী। 

Everyone Has a Purpose (প্রত্যেকের জীবনে একটি উদ্দেশ্য আছে)

সৃষ্টিকর্তা কোন মানুষকে কখনো এমনি এমনি সৃষ্টি করেন না। পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ডে জন্ম নেয়া প্রতিটি শিশু, সে একজন ধনীর ঘরে জন্মাক কিংবা একজন দিন-মজুরের ঘরে, তার জীবনের একটি উদ্দেশ্য আছে। সৃষ্টিকর্তা প্রতিটি মানুষের ভাগ্যে একটি উদ্দেশ্য দিয়েই তাকে পৃথিবীতে পাঠান এবং সেই উদ্দেশ্য পূরণই হচ্ছে সেই মানুষটির Destiny। তাই, আমার জীবনের কোন মূল্য নেই, আমার জীবনের কোন উদ্দেশ্য নেই এটা ভেবে বসে থাকাটা পুরোটাই অনর্থক। এমনটা যে মনে করে, তার দরকার শুধু সেই উদ্দেশ্যটা খুঁজে বের করা। হতাশা, বিষন্নতা প্রতিটি মানুষেরই জীবনের একটি অংশ। পৃথিবীর প্রতিটি সফল মানুষকে হতাশা ও বিষন্নতার মধ্য দিয়ে আসতে হয়েছে এবং তারা সেগুলোকে জয় করতে পেরেছে বলেই তারা আজ সফল। তারা যদি তাদের সমস্যাগুলোর কারণে হতাশ হয়ে ‘আমার দ্বারা কিছুই হবে না’ এই ভেবে হাল ছেড়ে দিতো বা সুইসাইড করতো তবে তাদের নাম আজকে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকতো না।

Everyone Has Value (প্রত্যেকেরই মূল্য আছে)

আমরা রবার্ট ব্রুসের নাম সকলেই জানি যে বার বার যুদ্ধে পরাজিত হয়েও হাল না ছেড়ে তার চেষ্টা ও অধ্যবয়াস দ্বারা একদিন জয়ী হতে পেরেছিলেন। এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে ইতিহাসের পাতায় যা থেকে আমরা অনুপ্রাণিত হতে পারি। খুব সহজ কথায় যদি বলি, যে ছেলেটি বা মেয়েটি মনে করে তার জীবনের কোন মূল্য নেই, তার দ্বারা কিছুই হবে না, কেউ তাকে ভালবাসে না, সেই ছেলে/মেয়ের বাবা-মাকে যদি বলা হয় তার সন্তানকে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদের বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে, তবে সেই সন্তান যতই অকর্মন্য হোক না কেন, কোন বাবা-মাই তা রাজি হবে না। কিংবা সেই ছেলে/মেয়েটিকে যদি বলা হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদের বিনিময়ে তার একটি হাত/পা অথবা চোখ বিক্রি করে দিতে তবে সেও কখনো রাজি হবে না। এ থেকেই বোঝা যায়, মানুষ যতই নিজেকে মূল্যহীন মনে করুক না কেন, পৃথিবীর বুকে সে কখনই মূল্যহীন নয়, তার বাবা-মায়ের নিকট সে মূল্যহীন নয় এমনকি নিজের অজান্তেই তার নিকট সব থেকে মূল্যবান ব্যক্তিটি হচ্ছে সে নিজেই। 

Every problem is Opportunity (প্রতিটি সমস্যা হচ্ছে সুযোগ)

মানুষের জীবনে সমস্যা আসবেই আর সমস্যা মানেই হচ্ছে Opportunity, কিছু করে দেখানোর অর্থাৎ যা অন্য কেউ করতে পারেনি, তা করে দেখিয়ে সমাজের চোখে নিজেকে মূল্যবান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। আর এর জন্য প্রয়োজন নিজেকে জানা, নিজের দক্ষতাকে চেনা এবং নিজেকে আরো বেশী করে দক্ষ করে গড়ে তোলা যেন সকলের সাথে টেক্কা দেয়া যায়। হাল ছেড়ে দেয়া বা সুইসাইড করাটা কখনো কোন কিছুর সমাধান হতে পারে না। যারা এগুলো করে থাকে তারা সমাজ ও পরিবারে আজীবন কাপুরুষ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। তাদেরকে কেউ কখনো মনে রাখে না। মনে রাখে তাদেরকেই যারা জীবনকে জয় করতে পারে। এদেরকেই পৃথিবী আজীবন অমর করে রাখে। আর এ জন্যই বিখ্যাত কবি Ella Wheeler বলছেন, “Laugh and the world laughs with you; Weep, and you weep alone”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *