Entrepreneurship is Not for Everyone

Entrepreneurship is Not for Everyone

 

Entrepreneur বা উদ্যোক্তা নামটি এখন সারা বিশ্বে বিপুল পরিমাণে পরিচিত। এই বিষয়টির সাথে পরিচিত নয় এমন মানুষের সংখ্যা এখন খুব কমই আছে। তরুণ গ্রাজুয়েটরা এখন ধীরে ধীরে আগ্রহী হয়ে উঠছে চাকরী করার পরিবর্তে নিজে থেকে কিছু করতে কারণ স্বাধীন ভাবে ব্যবসা করে যে পরিমান অর্থ আয় করা যায় বা নিজের Careerকে Develop করা যায় সেটা চার দেয়ালের মাঝে চাকরী করে মাসিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ Salary পেয়ে করা সম্ভব নয়।

কিন্তু আমাদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে সব কিছু সবার দ্বারা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। চাইলে যে কারো পক্ষে উদ্যোক্তা হওয়াটা একটু কঠিন। উদ্যোক্তা হতে হলে কিছু গুণাবলি থাকাটা অত্যান্ত জরুরী যেমন নেতৃত্ববোধ, দ্বায়িত্বশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, ব্যবসা পরিকল্পনা, Out of the Box Thinking, Innovation ইত্যাদী। কিন্তু এই সকল গুণাবলী সকল মানুষের মধ্যে বিদ্যমান থাকে না। যার কারণে অনেকেই আছে যারা ব্যবসা শুরু করার পরেও উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে পারে না। কিন্তু দেখা যায় তারাই আবার যখন কোন কোম্পানীতে চাকরী করে তখন সেখানে তারা অনেক ভাল করে। মূলত উদ্যোক্তা হতে হলে প্রথম যে মনোভাবটি থাকা প্রয়োজন সেটি হলো Risk বা ঝুঁকি নেবার জন্য প্রস্তুত থাকা। এই ঝুঁকির ফল Negative বা Positive যেকোন কিছু হতে পারে কিন্তু সেই ব্যক্তিকে সব সময় যেকোন পরিস্থিতির জন্য তৈরী থাকতে হবে। ঝুঁকি নেবার প্রবনতা যার মধ্যে নেই তার দ্বারা কখনই উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব নয়। ব্যবসা বিষয়টি অনেক বিস্তারিত একটি ব্যাপার এবং এক মাত্র যারা প্রকৃত ব্যবসামনষ্ক ব্যক্তি, তারাই পারে ব্যবসায় সফলতা লাভ করতে। 

সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা সব সময় নিজেদেরকে Safe Side এ রাখতে চায়। তারা চায় আরামে থেকে একটি নির্দিষ্ট চাকরীর মাধ্যমে মাস শেষে নির্ধারিত Salary পেতে। চাকরী করা মানেই হচ্ছে মাস শেষে একটি নির্ধারিত পরিমাণ টাকা তার জন্য বরাদ্ধ থাকা সুতরাং সেই ব্যক্তির আর অন্য কিছু নিয়ে ঝুঁকির কোন কারণ নেই। এ সকল ব্যক্তিরা যেহেতু চাকরী করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে তাই তারা যেকোন কোম্পানীতে খুব কম সময়ের মধ্যেই নিজের যোগ্যতা ও পরিশ্রম দ্বারা অনেক ভাল অবস্থানে পৌছাতে পারে। এমনও অনেক মানুষ আছে যারা চাকরীরত অবস্থায় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে থাকে কারণ দেখা যায় যে তার আশে পাশে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন কেউ যদি উদ্যোক্তা হয়ে যায় তবে তাকে দেখে সেই ব্যক্তিটির মনে হতাশার কাজ করে। তখন তারও মনে চিন্তার উদয় হয় চাকরী ছেড়ে ব্যবসা শুরু করতে। এটি কোন খারাপ পরিকল্পনা নয় কিন্ত যদি কারও মনে কখনো এমন চিন্তা এসে থাকে তবে তাকে সবার আগে ভাবতে হবে যে একজন উদ্যোক্তা হতে হলে যে গুণাবলীগুলো থাকা প্রয়োজন সেগুলো তার আদৌও আছে কিনা। একটি ব্যবসা শুরু করতে হলে যে শক্তিশালী পরিকল্পনা ও মূলধন প্রয়োজন সেটি তার আছে কিনা এবং সর্বোপরি তার ঝুঁকি নেবার মন মানসিকতা আছে কিনা। নিজেকে নিজে প্রশ্ন করে যদি এই সকল প্রশ্নের উত্তর Positive পাওয়া যায় একমাত্র তবেই সেই ব্যক্তির উচিত চাকরী ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায় নেমে যাওয়া। কিন্তু যদি এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর Negative হয় তবে সেই ব্যক্তির কখনই উচিত হবে না শুধু মাত্র ঝোঁকের বশে আশে পাশে মানুষদের অনুসরণ করে নিজের ভাল চাকরীটি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায় শুরু করা। কারণ সে তখন না পারবে ব্যবসায় ভাল করতে, না পারবে চাকরী ছাড়ার পর পুনরায় তার দীর্ঘদিনের করা চাকরীটির সফল অবস্থানে পৌছাতে। অথচ ঐ ব্যক্তিটি যদি নিজের নিষ্ঠা ও পরিশ্রম দিয়ে তার চাকরীটিই করে যেতে পারে তবে একটি সময় হয়তো সে একজন উদ্যোক্তার থেকেও অনেক সফল একটি অবস্থানে পৌছে যেতে পারে।

তাই প্রতিটি মানুষের তার নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, সামর্থ ও ক্ষমতা বুঝে তবেই তার নিজের Career নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের হাতের ৫ আঙ্গুল কিন্তু সমান নয়। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মধ্যেই একজন উদ্যোক্তা হবার স্পৃহা ও সম্ভাবনা আছে কিন্তু  মহান সৃষ্টিকর্তা সকল মানুষকে সমান দক্ষতা ও চিন্তাশক্তি দিয়ে সৃষ্টি করেননি। প্রতিটি মানুষেরই আলাদা আলাদা বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা আছে। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত নিজের মেধা, দক্ষতা ও চিন্তাশীলতাকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশ ও পরিস্থিতি বুঝে তবেই নিজের Career এর সিদ্ধান্ত নেয়া যে, সে উদ্যোক্তা হতে চায় নাকি চাকরী করতে চায়। আর একটি সমাজ তথা দেশ তখনই উন্নত হয় যখন আলাদা আলাদা Career ও পেশার মানুষেরা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সফল হয়। এই সমাজে যেমন উদ্যোক্তাদের প্রয়োজন আছে, তেমনি সেই সকল উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন ও পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে চাকরীজীবিদেরও ভূমিকা আছে। একটি দেশের প্রতিটি মানুষ যদি উদ্যোক্তা হয়ে যায় তবে সেখানে কাজ করার জন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। একটি মানুষ যেকোন অবস্থানে থেকেই সফলতা লাভ করতে পারে যদি সে তার ঐ কাজটিকে ভালবাসে। কোন কোম্পানীতে চাকরীরত কোন ব্যক্তি যদি তার কাজ ও কোম্পানীকে ভালবেসে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যায় অথবা সে তার নিজের যোগ্যতা ও সামর্থ অনুযায়ী কোম্পানী বদল করে আরো কোন ভাল কোম্পানীতে Join করে তবে সেই ব্যক্তির সফলতা কেউ আটকাতে পারবে না। তাই যদি কেউ তার চাকরীর Career নিয়ে হতাশাগ্রস্থ থাকে তবে তাদের জন্য শুধু একটাই পরামর্শ, আগে নিজের কাজটকে ভালবাসুন সেটি চাকরী হোক বা ব্যবসা। ভালবাসা, নিষ্ঠা ও পরিশ্রম দ্বারা করা যেকোন কাজই জীবনকে পৌছে দিতে পারে সফলতার দ্বারপ্রান্তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *