How to Get Dream Job in your Desired Organization

How to Get Dream Job in your Desired Organization

 

আজকের বিশ্ব চাকরির বাজারে আমাদের শিক্ষার্থীদের সব থেকে বড় দূর্বলতা হলো, যথাযথ প্রস্তুতি এবং সঠিক কোম্পানির সঠিক পজিশনে যোগদান করা। অর্থাৎ একজন চাকরী প্রার্থী, প্রথমেই যেখানে চাকরীটা করতে চায় সেই কোম্পানী সম্পর্কে এবং ঐ কোম্পানীতে তার পজিশন সম্পর্কে সে যদি আগে থেকেই একটু পড়াশোনা করে তবে চাকরীর প্রতিযোগিতায় অন্যদের তুলনায় সে সকলের থেকে এগিয়ে থাকবে। একটি কোম্পানী যখন চাকরীর সার্কুলার দেয় তখন সেখানে কাজের শর্ত সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে বলে দেয়া থাকে যেমন, প্রোগ্রামারের ক্ষেত্রে তাকে কিছু নির্দিষ্ট প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হবে, ডাটাবেজ ও প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে তার আইডিয়া থাকতে হবে। এবং সেই সাথে অনেক সার্কুলারে অভিজ্ঞতার ব্যাপারেও বলা থাকে যেমন ৩ বছর বা ৫ বছরের অভিজ্ঞ প্রার্থীকে প্রাধান্য দেয়া হবে। আবার কোথাও বলা থাকে যে যার যার শুধু মাত্র ব্যবহারিক জ্ঞান আছে শুধু তারাই আবেদন করতে পারবে। 

এখন অনেক ফ্রেশ গ্রাজুয়েট মনে করে যেহেতু তাদের কোন অভিজ্ঞতা নেই তাই তারা এখানে আবেদন করতে পারবে না। এই ধারণাটা ভুল। এর কারণ হচ্ছে এমপ্লয়ার অলরেডি বিজ্ঞপ্তিতে তাদের চাহিদা উল্লেখ করে দিয়েছে। এখন অবশ্যই এখানে এমপ্লয়ারদের অভিজ্ঞতাকে উল্লেখ করার পিছনে তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে যেন তারা এমন কাউকে পায় যে কিনা যোগদানের সাথে সাথে কাজ শুরু করতে পারে। এ ক্ষেত্রে একজন চাকুরী প্রার্থী গ্রাজুয়েট তার বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় যদি সঠিক ভাবে পড়াশোনা না করে, ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন না করে তাহলে সে Automatically সব দিক থেকে পিছিয়ে পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থাতেই তাকে খেয়াল করতে হবে তার মূল দক্ষতা কোথায় বেড়ে উঠছে। 

উদাহরণ স্বরূপ, পড়াশোনায় থাকা অবস্থায় দেখা গেলো সে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে নজর দেয়নি অথবা এই বিষয়ে তার ক্লাস ছিল কিন্তু সে অতটা গুরুত্ব দেয়নি। এবং যে প্রোগ্রামিং এর উপর তার ভবিষ্যত ক্যারিয়ার নির্ভর করছে, সেটার উপরেও তার তেমন দক্ষতা নেই কারণ সে ক্লাস করেছে ঠিকই কিন্তু যথাযথ গুরুত্ব না দেবার কারণে সে গভীরে যেতে পারেনি। তাহলে বিষয়টি যা দাড়াচ্ছে একটি কোম্পানী তাদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যে শর্ত বা অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করছে, একজন ফ্রেশ গ্রাজুয়েট ঠিক ঐ সাবজেক্টে গ্রাজুয়েশন করার পরেও শুধু মাত্র অবহেলার কারণে ঐ বিষয়ে যথাযথ দক্ষতা অর্জন করতে না পারার কারণে সে ঐ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারছে না। 

আমাদের আসলে বুঝতে হবে, বর্তমান চাকুরির বাজারে একজন নিয়োগকর্তার মূল চাহিদাটা কি? তারা তাদের কোম্পানীর জন্য এমন একজন লোক চায় যে কিনা তাদের প্রয়োজনীয়তাকে সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে, এখনকার সময় বেশীরভাগ চাকুরিপ্রার্থী চাকুরিদাতার Psychology সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত না। তারা কি করে, চাকরীর জন্য আবেদন করে চুপচাপ বসে থাকে ইন্টারভিউ কার্ড পাবার অপেক্ষায়। আর ইন্টারভিউ কার্ড পাবার পর তারা মনে করে, আচ্ছা ইন্টারভিউটা দিয়ে আসি। দেখি সেখানে টিকি কিনা। কিন্তু চাকরীটা পাবার জন্য যে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার সেটা কেউই নেয় না। যখন একজন প্রার্থী বিসিএস বা কোন সরকারী চাকরীর জন্য আবেদন করে এবং পরীক্ষা দিতে যায়, তখন সে নিজেকে সব রকম ভাবে প্রস্তুত করেই যায় যেন সে একটা ভাল ফলাফল নিয়ে বের হয়ে আসতে পারে এবং যার প্রস্তুতি যত ভাল হয় দিন শেষে চান্সটা সেই পায়। 

অন্যদিকে, একটি প্রাইভেট কোম্পানীর চাকরীর জন্য যখন কেউ আবেদন করে এখন তার মধ্যে এই আত্মনিয়োগ, আত্মত্যাগ, প্রত্যয় ও সাধনাটুকু দেখা যায় না। একজন ছাত্র তার স্কুল, কলেজ, ভার্সিটির প্রতিটি পরীক্ষার আগে সারা রাত জেগে পড়াশোনা করে, দিনের পর দিন এই পরীক্ষার পিছনে সে তার সময় ও শ্রম ব্যয় করে কিন্তু একটি চাকরীর ক্ষেত্রে তার এই গুরুত্ব থাকে না। অথচ এই গুরুত্বটা থাকা উচিত তার চাকরীর প্রস্তুতির জন্য বেশী, কারণ এর সাথে তার সারা জীবনের ক্যারিয়ার জড়িয়ে আছে।

একজন গ্রাজুয়েট যখন কোন কোম্পানীতে চাকরীর জন্য আবেদন করবে তার কাজ শুধু আবেদন করার পরেই শেষ হয়ে যাবে না। আবেদন করার পর পরেই তাকে প্রচন্ডভাবে নজর রাখতে হবে কিভাবে সে ইন্টারভিউ বোর্ডকে সন্তুষ্ট করতে পারে। মূলত একটি চাকরীর বিজ্ঞপ্তি ছাড়ার পর দিনই কিন্তু ইন্টারভিউ বোর্ডের জন্য কখনো ডাকা হয় না। এর জন্য কিছুটা সময় ধৈর্য ধারণ করতে হয়। 

ইন্টারভিউতে যাবার আগের সময়টিতে একজন প্রার্থী চাইলে ঐ কোম্পানীটি ভিজিট করতে পারে। আর এর আগে প্রথমে তাকে সেই কোম্পানী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে আর এই জন্য সে ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে পারে; কারণ এখন বেশীর কোম্পানীরই ওয়েবসাইট আছে যেখানে সেই কোম্পানীর লোকেশন, স্ট্রাটেজী, প্রোডাক্ট, সার্ভিস সব কিছু সম্পর্কে তথ্য দেয়া থাকে। সুতরাং, সে প্রার্থী স্মার্ট যে এই সকল তথ্য সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে রিসার্চ করে ঐ কোম্পানীর জন্য প্রযোজ্য হবে এমন কোন প্রোডাক্ট বা সলুশনের প্রদর্শন তৈরী করতে পারে। আর এখন আউটসোর্সিং এর যুগে সে চাইলে প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট না করেও অনলাইন থেকে কোন প্রোডাক্ট বা ফাইল ডাউনলোড করে সেটাকে কিছুটা কাস্টোমাইজ করে একটি ডেমো সলুশন তৈরী করতে পারে। সেই প্রার্থীকে যখন ইন্টারভিউ বোর্ডে ডাকা হবে তখন যদি সে বোর্ডের অনুমতি নিয়ে তার ডেমো বা সলুশনটি সকলের সামনে উপস্থাপন করে তখন কিন্তু নিয়োগকর্তা বা ঐ ইন্টারভিউ বোর্ড ঐ প্রার্থীর যোগ্যতা কি বা অভিজ্ঞতা আছে কি নেই সেটাকে গুরুত্ব দিবে না। তারা ইমপ্রেস হবে এই দেখে যে ঐ প্রার্থীটি কোম্পানীর প্রয়োজনকে পূরণ করার যোগ্যতা রাখে। 

আমরা যদি ইন্টারভিউ বোর্ডের চিত্র সম্পর্কে একটু গবেষনা করি তবে যা দেখা যায় আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের বিশাল একটি অংশ মূলত সন্দিহান থাকে যে তারা ইন্টারভিউ বোর্ডের মুখোমুখি হতে ঠিক কি কি ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। আর এই  সন্দেহ ও যথাযথ প্রস্তুতির না থাকার কারণে তারা যখন ইন্টারভিউ বোর্ডে যায়, তখন তাদেরকে সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন করার পর তারা ঐ প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর দিতে না পারার কারণে ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যরা প্রচন্ড বিরক্ত হন। তখন তারা প্রশ্ন তোলেন ঐ সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের যোগ্যতা সম্পর্কে যেখানে ও যাদের তত্বাবধানে তারা পড়াশোনা করেছে। এখন যদি আমরা এই সমস্যার শিকড় খোঁজার চেষ্টা করি তবে আমরা দেখবো বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদেরও কম বেশী দ্বায়িত্ব আছে শিক্ষার্থীদের বাস্তব জগত ও চাকুরির বাজারের জন্য প্রস্তুত করে তাদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়া। আর এই কারণে শিক্ষকদেরকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে যেন তার শিক্ষার্থীরা ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনে নিজেদেরকে ঐ কোম্পানীর প্রয়োজনের সাথে কমপ্লাই করে উপস্থাপন করার জন্য যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

অবশেষে আমি আবারও বলছি যদি কোন শিক্ষার্থী স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি থেকে এই সুযোগ সুবিধা গুলো না পায় তবে তার উচিত বসে না থেকে অনলাইন থেকেই তার প্রয়োজন মত সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা নিজেকে চাকুরির বাজারের জন্য প্রস্তুত করা। আর এখনকার পৃথিবীতে এমন কোন সলুশন নেই যা কেউ অ্যাপস আকারে বা প্রোডাক্ট আকারে বা ফ্রি আউটসোর্স হিসেবে বা অনলাইন সোর্সে বা কোন না কোন ভাবে তৈরী করেনি। 

এখন সবকিছু সহজলভ্য। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সব কিছুই এখন অনলাইনে আছে শুধু গ্রাহকদের সঠিক পন্থায় প্লাটফর্মটি খুঁজে বের করতে হবে। আর এই প্লাটফর্ম গুলো যে খুঁজে বের করে স্মার্টলি নিজেকে উন্নততর করতে পারবে, আজকের বিশ্বে অভ্যন্তরীন বা আন্তর্জাতিক চাকুরির বাজরে একমাত্র সেই পারবে টিকে থাকতে এবং ক্রমশ এগিয়ে যেতে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *