How To Make an Effective CV

How To Make an Effective CV

 

প্রতি বছর আমাদের দেশে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করছে। গ্রাজুয়েশনের পরে প্রায় প্রতিটি ছেলে-মেয়েরই লক্ষ্য থাকে একটি ভাল কোম্পানীতে চাকরী করা আর তার জন্য তারা নিজেদের ব্যক্তিগত বিবরনী, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য দক্ষতা ইত্যাদী তথ্যের সমন্বয়ে একটি ছোট Profile তৈরী করে যাকে বলা হয় সিভি বা Resume। বিভিন্ন চাকরীর সার্কুলার দেখে তখন তারা ঐ সকল কোম্পানীতে তাদের এই সিভি পাঠায় এবং সেই সিভি গুলো যদি সব দিক থেকে ঠিক ঠাক থাকে তবে সেই ছেলে বা মেয়েটিকে ডাকা হয় লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষার জন্য। এখন কিছু কিছু ছেলে-মেয়ের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, আমরা তো অনেক কোম্পানীতেই প্রায় প্রতিদিনই আমাদের সিভি পাঠাই কিন্তু সেই সকল কোম্পানী থেকে কোন ডাক আসে না কেন ? তাহলে কি আমাদের কোন যোগ্যতাই নেই নাকি আমাদের সিভিতেই কিছু কমতি আছে, যার কারণে ঐ কোম্পানী গুলো আমাদের ডাকছে না। এখন সমস্যা যদি সিভিতেই হয়ে থাকে তবে ঠিক কিভাবে ও কোন কোন তথ্যগুলী সিভিতে উপস্থাপন করলে একটি কোম্পানীর কাছে সেটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে ? এই প্রশ্নগুলী আজকের সকল তরুণ গ্রাজুয়েটদের কাছেই একটি প্রধাণ ও গুরুত্বপুর্ণ Issue।

এখনকার যুগের প্রায় প্রতিটি ছেলে-মেয়েদের প্রধাণ সমস্যা হচ্ছে তারা তাদের চাকরীর আবেদনের জন্য একটি কমন সিভি তৈরী করে যেখানে তারা তাদের সব রকম প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূর্ণ করে রাখে এবং যেখানে যে চাকরী সার্কুলার চোখে পড়ে সেখানেই তাদের সেই সিভি পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু তারা এটা কখনো চিন্তা করে দেখে না যে ঐ কোম্পানীর ঐ পদের সার্কুলারের জন্য তাদের পাঠানো এই সিভিটি আদৌও উপযুক্ত কিনা। প্রতিটি কোম্পানীর নানান রকম পদের জন্য কিছু কিছু নির্দিষ্ট Requirement থাকে। যেমন কোন স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় যদি শিক্ষক পদের জন্য সার্কুলার দেয় তবে তারা আশা করে শুধু মাত্র শিক্ষকতা Background, পড়াশোনা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা সম্পন্ন প্রার্থীরাই যেন এখানে তাদের সিভি জমা দেয়। এখন যে Marketing বা Engineering এ পড়াশোনা করেছে ও যার Marketing ও Engineering সম্পর্কিত প্রচুর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আছে সেই ব্যক্তি যদি শিক্ষকতার সার্কুলারে তার সিভি জমা দেয় এবং তার সিভিটি পুরোটাই যদি Marketing বা Engineering সম্পর্কিত তার এ সকল তথ্যে ভরপুর থাকে তবে সেই সিভি কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না। এই একই ব্যক্তি যদি তার লাইফে কখনো শিক্ষকতা করে থাকে বা এই নিয়ে তার কোন আলাদা পড়াশোনা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থেকে থাকে এবং শুধু মাত্র সেই তথ্য গুলোই তার সিভিতে উল্লেখ করে থাকে তবে তার শিক্ষাগত Background যাই হোক না কেন তার সিভিটি নিয়ে অবশ্যই ঐ স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষকরা চিন্তা ভাবনা করবে যে এই ব্যক্তিকে ডাকা যায় কিনা। অর্থাৎ এ থেকে আমরা কি বুঝতে পারছি, প্রতিটি ছেলে-মেয়েকেই এটা মাথায় রাখতে হবে যে সে কোন কোম্পানীর যে পদের জন্য আবেদন করছে সেই পদ সম্পর্কিত কোন ধরণের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা তার আদৌও আছে কিনা। যদি না থাকে তবে শুধু শুধু সেই কোম্পানীতে আবেদন করে তার মোটেই উচিত হবে না সময় নষ্ট করার কারণ সেখান থেকে সে কোন ডাক পাবে না। আর যদি এই অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাগুলো ঐ ব্যক্তির থেকে থাকে তবে তার উচিত হবে তার সিভিতে অন্য কোন অভিজ্ঞতা, দক্ষতার কথা উল্লেখ না করে শুধু মাত্র সার্কুলারে উল্লেখিত বিষয়টি সম্পর্কিত তার জ্ঞান গুলোই উল্লেখ করে আবেদন করা। একমাত্র তবেই সে আশা করতে পারে ঐ কোম্পানী থেকে একটি সম্ভাবনাময় উত্তর পাবার।

সুতরাং যে সকল ছেলে-মেয়ে একটি কমন সিভি ব্যবহার করে থাকে সব রকম সার্কুলারে আবেদন করার জন্য তাদেরকে তাদের Strategy বদলাতে হবে। কমন সিভির Format থেকে বের হয়ে এসে শুধু মাত্র সার্কুলার Based সিভি বানানো শিখতে হবে। প্রার্থীকে সার্কুলারটি পড়েই সর্ব প্রথম বুঝতে হবে এই সার্কুলারটি আসলেই তার জন্য কিনা। যে ছেলে বা মেয়ে সাংবাদিকতা বা মিডিয়ায় নিজের Career গড়তে চায় ব্যাঙ্কের সার্কুলার তার কোন কাজে লাগবে না। তবে সে যদি নিজের Career Switch করতে চায় তবে অবশ্যই তার ব্যাংক সম্পর্কিত পড়াশোনা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে তবেই সেখানে আবেদন করতে হবে। সে যদি তার সিভিতে সাংবাদিকতা বা মিডিয়ার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা উল্লেখ করে তবে ব্যাংক থেকে কখনই তার কোন ডাক আসবে না। পাশাপাশি একজন প্রার্থীকে এটাও বুঝতে হবে যে একটি সিভিতে ঠিক কতটুকু তথ্য দেয়া উচিত ও কি কি বিষয় বর্জন করা উচিত। একটি সিভি যতটা সহজ ও সরলভাবে তৈরী করা যায় ততই ভাল। 

  • একজন প্রার্থী তার সিভিতে নিজের সম্পর্কে নাম ঠিকানা সহ একটি ছোট্ট বিবরনী উল্লেখ করবে.
  •  তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সমূহ উল্লেখ করবে।
  • পড়াশোনার বাহিরে তার যদি কোন শখ ও দক্ষতা থেকে থাকে তবে সেগুলো উল্লেখ করবে।
  • তার যদি ইতঃপূর্বে কোন কোম্পানীতে চাকরীর অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তবে সেটি উল্লেখ করবে।

পাশাপাশি প্রার্থীটিকে অবশ্যই তার কিছু Soft Skill ও Hard Skill উল্লেখ করতে হবে। Soft Skill গুলো যেমন- 

  • Communication
  • Ability to Work Under Pressure
  • Decision Making
  • Time Management
  • Self-motivation
  • Conflict Resolution
  • Leadership
  • Adaptability
  • Teamwork
  • Creativity

এবং Hard Skill গুলো-

  • Data Analysis
  • Copy-writing
  • Foreign Languages
  • Accounting
  • Computer Languages
  • Mathematics
  • Graphic Design
  • Planning / Event Planning
  • SEO / SEM Marketing
  • Bookkeeping

এবং সর্বোপরি তার রেফারেন্স উল্লেখ করার মাধ্যমে তার সিভি শেষ করবে। আগেই বলেছি এ সবগুলো তথ্যই তাকে কোন না কোন ভাবে ঐ কোম্পানীর উল্লেখিত চাকরীর সার্কুলার বা সার্কুলারের Requirement এর সাথে সমন্বয় করতে হবে। যদি কোন তথ্যের সমন্বয় না ঘটে তবে তা বর্জন করাই শ্রেয়। এছাড়াও প্রার্থীকে মাথায় রাখতে হবে সিভিতে লেখা কোন কিছুতে যেন কোন বানান ভুল না থাকে কারণ পরীক্ষকরা যদি কোন সিভিতে বানান ভুল খুঁজে পায় তবে ঐ প্রার্থী সম্পর্কে তাদের মনে শুরুতেই একটি Negative ধারনার সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি তাকে সিভির ডিজাইন সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে। সিভিকে খুব বেশী Complex করা যাবে না ও সিভি কখনো খুব বেশী রং-চং মিশিয়ে বানানো যাবে না। এগুলো আকর্ষণের বদলে বরং পরীক্ষকদের বিরক্তি সৃষ্টি করে। সিভিকে খুব বেশী লম্বাও করা যাবে না। সিভি অবশ্যই সর্বোচ্চ ২ পৃষ্ঠার হওয়া উচিত এবং ২ পৃষ্ঠার কখনই বেশী হওয়া যাবে না। একটি রিসার্চ থেকে জানা গেছে যে যখন একজন পরীক্ষক কোন প্রার্থীর সিভি হাতে নেয় তখন ঐ ব্যক্তিটি মাত্র ৬ সেকেন্ড সময় নেয় পুরো সিভিটি দেখতে। এর বেশী সময় দেবার মত সময় কোন পরীক্ষকেরই থাকে না তাই একজন প্রার্থীকে তার সিভিটি এমনভাবে ও এমন সব তথ্য দ্বারা তৈরী করতে হবে যেন মাত্র ৬ সেকেন্ডের মধ্যেই তা একজন পরীক্ষককে Impress করতে পারে। অবশেষে যারা সব সময় বিভিন্ন কোম্পানীতে আবেদন করছেন ও সিভি জমা দিচ্ছেন কিন্তু কাংখিত উত্তর না পেয়ে বরং দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ছেন তাদের উচিত হবে এই শিক্ষাগুলোকে কাজে লাগিয়ে যুগোপযোগী সিভি তৈরী মাধ্যমে ঠিক মত আবেদন করার কারণ সকল কোম্পানীই চায় একটি যোগ্য প্রার্থীর উপযুক্ত সিভি পেতে। তারাও বিরক্ত হয় প্রতিদিন শত সিভি পর্যবেক্ষণ করে তাদের কাংক্ষিত প্রার্থীকে খুঁজে না পেলে। তাই ঐ সকল শত শত অনুপযুক্ত সিভিগুলোর মধ্যে যদি আপনার সিভিটি হয় সব দিক থেকে সর্বগুণ সম্পন্ন তবে ঐ কোম্পানী থেকে আপনার একটি কাংক্ষিত জবাব আশা নিশ্চিত আর এটি শুধু মাত্র আপনার Career এর দ্বার খুলে দিবে না বরং ঐ কোম্পানীর পরীক্ষকরাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে তাদের কাংক্ষিত প্রার্থীকে পেয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *