The Secret of Success – A Case Study on Jack Ma

The Secret of Success – A Case Study on Jack Ma

সফলতার খুব সহজ একটি সূত্র হল সফল মানুষদের জীবনবিধান অনুসরণ করা। একজন সফল উদ্যোক্তা জানেন ব্যবসার খুঁটিনাটি, সফল লেখক জানেন কত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তার বর্তমান অর্জন। একজন সফল বিজ্ঞানী জানেন কত ব্যর্থতার পর তার একেকটি সফল আবিস্কার। জীবনী ঘাঁটলে দেখা যাবে সকল সফল মানুষদের মধ্যে কিছু কমন সাদৃশ্য রয়েছে।

একজন সফল ব্যক্তিকে কেস স্টাডি হিসেবে দেখা যাক। আলিবাবার কর্নধার জ্যাক মা জীবনে কখনও লক্ষ্যচ্যুত হননি। তিনি কখনও আশাহত হননি। তিনি বিশ্বাস করতেন, তাকে প্রমাণ করার কোন না কোন সুযোগ কাজে লাগবে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভর্তি হতে পারেরনি, কেএফসিতে তার চাকুরি হয়নি, পুলিশের চাকুরিও তার জোটেনি, অসংখ্য চাকুরির পরীক্ষা দিয়েও তিনি সফল হতে পারেননি। কেউ বিশ্বাস করত না যে তিনি সফল হতে পারবেন। কোন ইনভেস্টর তার জন্য বিনিয়োগ করেননি। ব্যবসা শুরুর প্রথম তিন বছর তিনি ১ পেনিও আয় করতে পারেননি। এখন তিনি চায়নার সবচেয়ে বিত্তশালী উদ্যোক্তা।

 

জ্যাক মা’র সাফ্যল্যের সূত্রাবলী

১. অন্যের  ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। চোখ কান খোলা রাখলেই প্রতিনিয়ত আমরা শিখতে পারি অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে। জীবনের প্রতিটি জায়গাতেই আমরা অন্যের করা ভুল গুলো দেখে শিক্ষা নিতে পারি।

২. এখন গুনগত মানের উপর জোর দিতে হবে। গুনগত মান ধরে রাখতে না পারলে টিকে থাকা কঠিন। কাজ  যতটুকুই করা হোক ততটুকুই মানসম্পন্ন হতে হবে।

৩. এই পৃথিবীতে একটি শক্ত অবস্থান তৈরী  করতে হলে প্রথম হতেই হবে। কোন কাজ প্রথমে শুরু করতে হবে এবং তার ধারা অব্যাহত রাখতে হবে  অথবা অন্য কেউ শুরু করলেও নিজের চেষ্টা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রথম হতে হবে।

৪. আগামীর জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। দূরদর্শী হতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে তৈরী করতে হবে। নিজেকে সময়ের সাথেসাথে বদলাতে হবে।

৫. “প্রতিপক্ষকেই কখনোই দুর্বল ভাবতে নেই” এই কথাটি আমরা প্রায়শই শুনে থাকি ও বলে থাকি কিন্তু সবসময় মানিনা। এই কথাটি মাথায় রেখে প্রতিযোগীকে/প্রতিপক্ষকে যথাযথ মূল্যায়ন ও সম্মান করতে হবে। তাদের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

৬. জীবন কোন ফুলশয্যা নয় যে যেখানে শুধুই সুখকর অভিজ্ঞতায় ভরপুর থাকবে। জীবনে  অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আমরা বেড়ে উঠেছি, তাই প্রতিকূলতাকে স্বাচ্ছন্দে গ্রহণ করার মানসিকতা আমাদের থাকতে হবে। যেখানেই প্রতিকূলতা সেখানেই আমাদের সুযোগ আছে নিজেকে প্রমাণ করার।

৭. বিশ্বাস একটা শক্তিশালী শব্দ, যার জোরে একজন মানুষ অজস্র প্রতিকূলতাকে জয় করে সফল হতে পারে। তাই নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।

৮. স্রষ্টা আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাই আমরা জীবন পেয়েছি, কিন্তু এই জীবনে  সবচেয়ে বড় নেয়ামত হচ্ছে সুস্থতা। তাই আমদের সুস্থ থাকার জন্য করণীয় কাজ করতে হবে।

৯. একটানা কাজ করে অবসাদ্গ্রস্থ হওয়া যাবে না। তাতে কাজের গতি কমে যাবে, তাই নিজেকে চাঙ্গা করে নেওয়াটাও জরুরী।

১০. নেতৃত্ব দেওয়ার গুনাবলী থাকতে হবে এবং তার জন্য প্রথমেই নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হবে। নিজেকে ইনফরমেটিভ হতে হবে এবং তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা দরকার। 

১১. তুমি যে কাজটি শুরু করতে চাও অথবা যে বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাও, তার প্রতি নিজের প্যাশন ও ভালোবাসা থাকতে হবে। তার ব্যবহার নিজেকে দিয়েই শুরু করতে হবে।

১২. নিজের কাজটা খুব ভালো হয়েছে ভেবে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে থাকলে সে খুশি বেশী দিন থাকবে না। কারন ভালোর কোন শেষ নেই। তাই সবসময় ভালো থেকে আরো ভালো কীভাবে করা যায় সেদিকেই মনোযোগ দিতে হবে।

১৩. আমাদের মাথায় প্রতিনিয়ত অনেক আইডিয়া আসে, কিন্তু আমরা শুধুমাত্র তা  ভাবনা পর্যন্ত রেখে দেই, ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নেইনা। আমাদের ভাবনা গুলোকে কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারলেই শুধুমাত্র আমরা আমাদের স্বপ্নের জায়গায় পৌঁছাতে পারব।

১৪. কোন কাজ শুরু করা ও সফল হওয়া মুখে বলা যত সহজ কিন্তু হাতে কলমে করা ঠিক ততটাই কঠিন। শুরুর দিন খুবই কষ্টের  এবং শুরু করে কিছুদূর যাওয়া আরো বেশী কঠিন কিন্তু তার পরেই আছে সফলতা। বেশীরভাগ মানুষ দ্বিতীয় ধাপে গিয়েই হারিয়ে যায়/ হাল ছেড়ে দেয়। তাই কোন কাজেই হাল ছাড়া যাবেনা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *