সফলভাবে একটি দিন শুরু করার কার্যকরী ৭টি উপায়ঃ-
০১। খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা
ভোর বেলা ঘুম থেকে ওঠার নিয়মিত অভ্যাস যে কোন বয়সের মানুষেরই স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে। তবে কাজের ভিন্নতার কারণে অনেকের পক্ষেই চাইলেও ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেক্ষেত্রে তাদেরকে অন্তত ঘুমের একটি নির্দিষ্ট Cycle অনুসরন করা উচিত অর্থাৎ সে যদি একটি Timing মেনে চলে যে প্রতিদিন সে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাবে ও একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠবে। এভাবে একটি Cycle মেনে চলার মাধ্যমেও একটি মানুষ শৃংখলাবদ্ধ জীবনযাপন করতে সক্ষম হবে।
০২। সকালের Exercise করা
ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাহিরে হাঁটতে যাওয়া, জগিং করা, Meditation বা হালকা Exercise করার অভ্যাস তৈরী করা উচিত। তবে পূর্বেই বলেছি যে অনেকের পক্ষে ভোরে ঘুম থেকে ওঠা সম্ভব হয় না, তাই তাদের পক্ষে সকালের Exerciseটাও করা হয়ে ওঠে না। সেক্ষেত্রে সে সারা দিনের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময় যদি বরাদ্ধ রাখে তার Physical Exercise এর জন্য তবে সে অনায়াসেই তার স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারবে। পাশাপাশি যখনই সুযোগ পাওয়া যায় তখনই ছোট ছোট Exercise যেমন হালকা হাটাহাটি করা, সিড়ি দিয়ে ওঠা নামা করা এগুলো যদি করা যায় তবে এগুলোই শরীরের জন্য অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করবে।
০৩। স্বাস্থ্যকর Breakfast
যেহেতু দিনের প্রথম খাবার, সুতরাং পুষ্টিকর কিছু খাওয়া উচিত যা সারা দিনের জন্য শক্তি জোগাবে। অনেকেই আছে কাজের চাপ ও তাড়াহুড়ার কারণে সকালের নাস্তা বা Breakfastকে এড়িয়ে যায়। কিন্তু এটা ঠিক নয়। বিজ্ঞান ও ধর্ম দুটি জায়গাতেই শরীর ঠিক রাখার জন্য Breakfast কে অনেক বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সকালে যে খাবারটি খাওয়া হয় তা একটি মানুষের শরীরের Immune Systemকে সারা দিনের জন্য সচল রাখে ও কাজের শক্তি যোগায়। আমরা যদি গোটা বিশ্ব জগতটা দেখি তবে দেখবো যে সর্বত্র একটি নির্দিষ্ট নিয়ম বিরাজ করছে ঠিক তেমনি সৃষ্টিকর্তাও মানুষের শরীরকে তৈরী করেছে একটি নির্দিষ্ট নিময়ের সাথে জুড়ে দিয়েই আর সময় মত খাদ্য গ্রহণ করা হচ্ছে অন্যতম একটি নিয়ম যা প্রতিটি মানষেরই সঠিক ভাবে মেনে চলা উচিত। এই নিয়মের লংঘন করলে শরীর ও Brain সঠিক ভাবে একটি মানুষকে তার কাংক্ষিত Output দিতে পারবে না। তাই Breakfastকে কখনই অবহেলার চোখে দেখা যাবে না।
০৪। Religious Value:
আমরা জানি যে সৃষ্টিকর্তা কখনই কোন মানুষকে অর্থহীনভাবে সৃষ্টি করেনি সেই সাথে জন্ম, মৃত্যু ও রিজিক এই ৩টি বিষয়ের নিয়ন্ত্রন সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে রেখেছেন। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই তার নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী নিজের জীবনকে গড়তে হবে। তাই প্রতিদিনকার যে সকল ধর্মীয় রীতি-নীতি গুলো আছে, তা সময় মত মেনে চলা উচিত।
০৫। সারা দিনের কাজের তালিকা ঠিক করা
সারা দিনে কি কি কাজ করতে হবে তার একটি Priority List তৈরী করে ফেলতে হবে, তাহলে আর কোন কাজ বাদ পড়বে না। অনেকেই হয়তো মনে করতে পারে যে লিখে রাখার কোন দরকার নেই, এগুলো মনে থাকবে। এই বিষয়টি ভুল কারণ মানুষের মন ও Memory এর উপর তার নিজের কোন নিয়ন্ত্রন নেই। দৈনন্দিন কাজের চাপে কোন একটি বিষয় মানুষ ভুলে যেতেই পারে। আর এই জন্যই সকলের উচিত জরুরী বিষয় গুলো লিখে রাখা যেন ভুলে গেলেও সেগুলো Track করা যায়। আর এখনকার যুগ যেহেতু Technology এর তাই এখন কাগজে কলমে লিখে রাখারও প্রয়োজন নেই। মানুষ তার মোবাইলেই Note, Calendar এগুলোতে লিখে Reminder হিসেবে রেখে দিতে পারে।
০৬। একটি Challenging কাজ দিয়ে দিন শুরু করা
দিনের শুরুতে মন ও শরীর ফ্রেশ থাকার কারণে সব থেকে Challenging বা কঠিন কাজটিই আগে শুরু করা উচিত। তাহলে সেই কাজটি অন্য সময়ের তুলনায় খুব সহজে ও জলদি শেষ করা সম্ভব হবে। দিনের শুরুটা যদি কোন Challenging কাজ দিয়ে শুরু করা যায় তবে যে সুবিধাটা পাওয়া যাবে, তা হলো যদি সেই কাজে ব্যর্থতা আসে তবে সেটি একটি Experience হিসেবে ভবিষ্যতে কাজে আসবে আর যদি কাজটিতে সফলতা আসে, তাহলে Confidence লেভেল অনেক বেড়ে যাবে। তাই মানুষের জীবনে যে যত বেশী Challenge নিতে পারে, সেই তত Successful হয়।
০৭। সময়ের সদ্ব্যবহার করা
প্রতিটি মানুষকে সৃষ্টিকর্তা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছে এবং এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমাদেরকে আমাদের জীবনের সকল কাজ গুলোকে সম্পন্ন করতে হচ্ছে। সুতরাং প্রতিটি মানুষকে তাদের কাজের পরিধী বাড়াতে হবে। মানুষের যত Soft Skill, Hard Skill আছে, সেগুলো নিয়ে যত বেশী সম্ভব চর্চা করতে হবে। নিজের Brain, Body ও সময়কে যত বেশী সৃজনশীল কাজে ব্যবহার করা যায় মানুষ তত বেশী ভাল ভাবে বেঁচে থাকে, সুস্থ থাকে এবং মানসিক প্রশান্তিও লাভ করে। কিন্তু তা না করে যদি কেউ বেকার বসে থেকে নিজের মুল্যবান সময় গুলোকে নষ্ট করে তবে তার দ্বারা কখনই কোন কিছু অর্জন করা সম্ভব হবে না। যেহেতু এই পৃথিবীতে মানুষের সময় নির্দিষ্ট তাই তার এই নির্দিষ্ট সময়টিকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে তার পক্ষে সম্ভব হবে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনের মাধ্যমে একটি সফল অবস্থানে পৌছানো যেন মৃত্যুর পরেও মানুষেরা তাকে মনে রাখে। এবং এই কর্মজীবনটিই কিন্তু তার ইহকাল ও পরকালের জন্য আশির্বাদ হিসেবে কাজ করবে।
অবশেষে,
আগামী দিনের পরিকল্পনা – সারা দিনের সকল কাজ শেষে আগামী দিনের জন্য Pending কাজের একটি List তৈরী করুন এবং আগামী দিনের কাজ গুলো শুরু করুন সেই Listটি মিলিয়ে।