Positivity Comes First From Family
একটি শিশুর কাছে জন্মের পর প্রথম স্কুলই হচ্ছে তার পরিবার। এখান থেকে সে ছোটবেলায় যা যা শিখবে তাই তাকে জীবনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আর এই স্কুলের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হচ্ছেন বাবা-মা। তাই বাবা-মা যদি নিজেরা Positive মন মানসিকতার হয়ে থাকেন তবে তাদের সন্তানরাও বেড়ে উঠবে সকল প্রকার Positivity এর মধ্য দিয়ে যার চূড়ান্ত উদাহরণ হচ্ছেন বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী ‘টমাস আলভা এডিসন’ (Self educated. He developed many devices in fields such as electric power generation, mass communication, sound recording, and motion pictures). আমরা অনেকেই কম বেশি তার জীবনের একটি গল্প জানি।
একদিন টমাস এডিসন বাড়িতে এসে তার মাকে একটি কাগজ দিয়ে বললেন, “আজ স্কুলে আমার শিক্ষক এই কাগজটি আমাকে দিয়েছেন এবং আমাকে এটি শুধু মাত্র আমার মাকে দেওয়ার জন্য বলেছেন।” এডিসনের মা কাগজটি নিলেন এবং কাগজটি পড়ে তার চোখে কান্না চলে এলো। তখন তিনি কাগজে কি লেখা আছে সেটা তার ছেলেকে উচ্চস্বরে পড়ে শোনালেন, “আপনার ছেলে অসম্ভব বুদ্ধিমান। এই স্কুলটি তার পক্ষে যথেষ্ঠ নয় এবং তাকে পড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত ভাল শিক্ষক এই স্কুলে নেই। দয়া করে আপনার ছেলেকে আপনি নিজে নিজে শিখিয়ে নিন”।
বহু বছর পরে, এডিসনের মা মারা যাওয়ার পরে এবং তিনি যখন এই শতাব্দীর অন্যতম সেরা উদ্ভাবক, একদিন তিনি পুরানো পারিবারিক জিনিসপত্র ঘাটাঘাটি করছিলেন। হঠাৎ তিনি একটি ডেস্কের ড্রয়ারের কোণে ভাঁজ করা ছোটবেলায় স্কুল থেকে পাওয়া সেই কাগজটি দেখতে পেলেন। তিনি কৌতুহলবশত কাগজটি পড়ার জন্য খুললেন। সেই কাগজে লেখা ছিল, “আপনার ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ। আমরা তাকে আর এই স্কুলে পড়াতে পারবো না।”
লেখাটি পড়ে টমাস আলভা এডিসন কয়েক ঘন্টা ধরে কেঁদেছিলেন এবং তারপরে তিনি তাঁর ডায়েরিতে লিখেছিলেন, “Thomas Alva Edison was an addled child that, by a hero mother, became the genius of the century.”
সুতরাং এভাবেই আমরা নিজেরা যদি নিজেদের মধ্যে Positive মন মানসিকতা তৈরী করতে পারি তবে আমাদের আগামী প্রজন্মকে আমরা একটি সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যত উপহার দিতে সক্ষম হবো।