Post-Corona Revolution in Education
পৃথিবীতে এমন এক সময় আসবে, তা কী কেউ জানতো? কেউই জানতো না। তারপরও এসেছে। করোনা পুরো বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। বেঁচে থাকাই এখন প্রতিটি মানুষের একমাত্র উদ্দেশ্য। এত লেখাপড়া শিখে, এত টাকাকড়ি উপার্জন করে কী লাভ যদি বেঁচে থাকতেই না পারি? আবার একই সঙ্গে এটাও সত্য যে, বেঁচে থাকার পর এই পৃথিবীতে টিকে থাকব কী করে? শুধু শ্বাস-প্রশ্বাস চললেই তাকে বেঁচে থাকা বলে না। সুস্থ, সুন্দর ও স্বাভাবাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। এজন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। করোনা-পরবর্তী পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। সময় কিন্তু চলে যাচ্ছে। এখন এই লকডাউনের সময় নিজের Immune System বাড়াতে হবে। মনোবল বাড়ানোর জন্য মেডিটেশন করতে হবে। পাশাপাশি নিজের কর্মদক্ষতা বাড়াতে হবে। কর্মক্ষেত্রের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
ইন্টারনেটের বদৌলতে এখন আমাদের হাতের মুঠোয় অনেক সুযোগ। নিজেকে প্রস্তুত করার, নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করার নানা উপকরণ ছড়িয়ে আছে ইন্টারনেটে। ঘরে বসে আমরা এখন এসব সুবিধা গ্রহণ করতে পারি। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কোর্স করে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারি।
ইতঃমধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থায় এক ধরনের পরিবর্তন শুরু হয়ে গেছে। শিক্ষাব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যাপকভাবে ব্যবহার বেড়েছে। করোনা পরিবর্তী পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ার জন্য শুধু শিক্ষক-শিক্ষিকা বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রস্তুত হলেই হবে না, বরং শিক্ষার্থীদেরকেও প্রস্তুত হবে। প্রযুক্তির শিক্ষায় নিজেদেরকে প্রশিক্ষিত করতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই প্রজন্ম হচ্ছে প্রযুক্তিনির্ভর প্রজন্ম। তারা ইন্টারনেটের অনেক সোর্স সম্পর্কে অবগত। কিন্তু আমাদের শিক্ষকরা একটু আগের প্রজন্ম হওয়ার কারণে তারা প্রযুক্তিতে ততোটা দক্ষ নন। এই দুই প্রজন্মের সুন্দর সমন্বয়টা জরুরি এবং সময়ের দাবী।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় সুযোগ হচ্ছে, বিশেষ কোনো বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠার সুযোগ। বিশেষ কোনো বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠার সবচেয়ে বড় লাভ হচ্ছে, চাকরি না পেলেও ফ্রিল্যান্সিং কাজের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়। সারা পৃথিবীতে সবাই এখন দক্ষতাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। কাজেই দক্ষতা অর্জন করা ছাড়া উপায় নেই। একটা সময় ছিল যখন সবাই চাকরি করতে চাইতো। আস্তে আস্তে সেই প্রবণতা কমে আসছে। মানুষ এখন চাকরির চেয়ে ফ্রিল্যান্সিংকে বেশি পছন্দ করছে।