The key to have a happy life
মানুষের নিজেকে সব সময় সুস্থ রাখার জন্য তার কাজের পরিধি বাড়াতে হবে, Creativity বাড়াতে হবে। চিন্তা ও চেতনা সব কিছুতেই পজিটিভ মন-মানসিকতা রাখতে হবে। আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষই অভাবী। আমার অভাব আছে কিন্তু সেটাই আমার জীবনের একটি বড় Opportunity। আমরা জানি যে শারিরীক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত হাটাহাটি করা খুবই জরুরী। অনেকেই আছে যারা এই বলে অজুহাত দেয় যে, আমার হাঁটাহাঁটি করার জায়গা নেই। এই অজুহাতগুলো আসলে ঠিক না কারণ, আল্লাহ আমাদের প্রতিনিয়ত অফুরন্ত সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছেন। আমি যদি মনে করি যে, এই মুহূর্তে আমি কারো সাথে কথা বলার সময় হাঁটবো, তবে আমার সেই হাঁটার জায়গাটা কিন্তু খুব বেশী না। রুমের ভিতরেই আমি পায়চারী করতে করতে কারো সাথে কথা বলতে পারি বা টুকটাক কাজ সেরে নিতে পারি আর এই পায়চারিটাই কিন্তু একজন মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য অনেক সহযোগিতা করে। তার মানে আমাদের যতই সীমাবদ্ধতা থাকুক না কেন, এর মাঝেই আমাদের বেড়ে উঠতে হবে, কাজ করতে হবে।
আমরা অনেক সময় অনেক কাজ আমাদের গতানুগতিক স্টাইলে করি। আমরা আমাদের কোন Creativity কাজে লাগাই না। কোন নতুন উপায়ে আমরা Contribute করার চেষ্টা করি না। আমরা কোন কিছু পজিটিভলি নেই না, হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করি না। আমরা চাই না বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে মিলে মিশে থাকতে। এই কাজগুলো আমাদের সামাজিক জীবনের যে ধারাবাহিকতা, তাতে বিঘ্ন ঘটায়। কিন্তু আমরা যদি এই Negativity গুলো দূরে সরিয়ে রেখে একটিবার আমাদের আপন মানুষগুলো, যে যেখানে যে অবস্থানেই থাকুক না কেন, যত আর্থিক কষ্ট, দৈন্য ও কঠিন সমস্যার মধ্যেই তারা থাকুক না কেন, আমরা যদি প্রফুল্ল চিত্তে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারি, তাদের সাথে মিলে মিশে এক সাথে থাকতে পারি তাহলে আমরা শুধু নিজেরাই নই বরং আমাদের আশেপাশের সকলকে নিয়ে একটি সুস্থ, সুন্দর ও সম্মৃদ্ধশীল জীবন গড়ে তুলতে পারবো। আমরা যদি মনে করি, এই পৃথিবীতে তো আমরা অল্প সময়ের জন্য আসছি, কেন আমরা আমাদের জীবনটাকে সুন্দর ভাবে নিব না, কেন জীবনের এই ব্যর্থতা, এই প্রতিকূলতাগুলোকে আমরা সহজ ভাবে মোকাবিলা করবো না, এই চিন্তা-চেতনা ও মানসিকতাই পারে আমাদের জীবনকে মুহূর্তের মধ্যে বদলে দিতে।
একটি মানুষ যখন চ্যালেঞ্জিং ও পজিটিভ মন-মানসিকতার Creativity নিয়ে বেড়ে ওঠে, সমাজের সাথে মিলেমিশে বসবাস করে তখন তার শরীরের ভিতরে এক প্রকার হরমোন Automatically সৃষ্টি হয়। এই হরমোনের মাধ্যমে সে প্রাণ চাঞ্চল্য পায়, বেঁচে থাকার তাগিদ তার ভিতরে কাজ করে, সে সব কিছুতেই তখন আনন্দ পায়। অনেকেই আছেন যারা বলে থাকেন যে, অর্থই পারে জীবনে সুখ-শান্তি এনে দিতে। কিন্তু শুধু মাত্র আর্থিক সবলতাই একটি মানুষকে স্বাচ্ছন্দে রাখতে পারে না, এর জন্য মানসিক সন্তুষ্টি ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বা আধুনিক চিন্তা-চেতনা অত্যন্ত জরুরী। এই সব কিছু নিয়ে যদি একজন মানুষ সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে পারে, তাহলেই সে তার জীবনে সর্বোচ্চ আনন্দের সন্ধান লাভ করতে পারবে।
আমাদের চারিপাশে প্রতিনিয়ত যে Technology ও Opportunity গুলো আছে সেগুলো আমরা কেউই লক্ষ্য করি না। আমরা কিন্তু প্রতিনিয়তই অক্সিজেন নিচ্ছি, নিঃশ্বাস নিচ্ছি। হঠাৎ করে যদি ৫ মিনিট বা ২ মিনিটের জন্য আমাদের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আমরা আর বাঁচতে পারবো না। তার মানে আমাদের জীবন কিন্তু প্রকৃতির হাতেই। আল্লাহপাক আমাদের প্রকৃতির মধ্যেই প্রতিনিয়ত সুযোগ দিচ্ছেন বেঁচে থাকার জন্য। এভাবে সব কিছুর দিকে যদি আমরা তাকিয়ে দেখি তবে আমরা দেখতে পাবো একটি সিস্টেমের ভিতর দিয়ে কিভাবে সৃষ্টিকর্তা আমাকে, আপনাকে, পুরো বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। এই সিস্টেমে যদি বিন্দু পরিমাণ ব্যাঘাত ঘটে তবে মুহূর্তের মধ্যেই আমরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব এই সৃষ্টিজগত থেকে। আমরা কখনই সৃষ্টিকর্তার নেয়ামত নিয়ে এত গভীর ভাবে ভেবে দেখি না বরং আমরা সর্বদা ব্যস্ত থাকি আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা ও অপূর্ণতা গুলো নিয়ে।
আমাদের জীবনে নিজস্ব কিছু চাওয়া-পাওয়া, চিন্তা-চেতনার মধ্যে যখনই কোন ধরণের অসামঞ্জস্যতা তৈরী হয় বা চাহিদা গুলো যখন পূরণ না হয় তখনই কিন্তু আমাদের নিজেদের ভিতর আক্ষেপ হয়, এক ধরণের Negativity সৃষ্টি হয় এবং এই কারণেই আমাদের সমাজে সকলের মাঝে সব কিছু নিয়ে শুধু সমালোচনা করার প্রবনতাটি কাজ করে। এই অবস্থা থেকে যারা বাঁচতে পারে, যাদের মধ্যে পজিটিভ মন-মানসিকতা আছে, যারা সব কিছুকেই খুব হাসি-খুশি ভাবে নেয়, তারা কিন্তু শারিরীক, মানসিক, পারিবারিক সব ব্যাপারেই অনেক ভাল থাকে আর দশ জন থেকে। সব মিলিয়ে এই সমাজ ব্যবস্থা, ক্যারিয়ার জীবন ও বাস্তবিক জীবনে আমাদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুখে থাকা আর সুখে থাকা কিন্তু নিজের উপরেই ডিপেন্ড করে। একমাত্র আমরা নিজেরাই পারি আমাদের নিজেদের জীবনকে সুন্দর করে সাজিয়ে সুখি ও স্বাচ্ছন্দময় জীবন-যাপন করতে।