How to Spot a Dishonest Candidate

How to Spot a Dishonest Candidate

 

আমাদের দেশে গ্রাজুয়েশনের পরে প্রায় প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী চেষ্টা করে একটি ভাল মানের কোম্পানীতে চাকরী করার জন্য এবং তার জন্য তারা তখন বিভিন্ন কোম্পানীতে আবেদন করতে থাকে। আর এই আবেদন করার প্রাথমিক ও প্রধান উপায় হচ্ছে সেই কোম্পানীতে তার CV বা Resume জমা দেয়া। CVতে ঐ ব্যক্তির সকল প্রকার শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিবরনী ও অন্যান্য দক্ষতার ব্যাপারে বিস্তারিত ভাবে তথ্য দেয়া থাকে। কোন একটি কোম্পানীর HR এ যারা থাকেন তাদের কাজ হচ্ছে সেই সকল CV গুলো পর্যবেক্ষণ করে কোম্পানীর জন্য একজন যোগ্য কর্মীকে বাছাই করা। এটি অনেক বড় একটি দ্বায়িত্ব কারণ এই দ্বায়িত্বটি যদি ঠিক মত পালন করা না হয় তবে অযোগ্য ব্যক্তিদের বাছাইকরণের ফলে সেটি কোম্পানীরই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। 

Wrong Informative CV: Hassle For HR

এখন এই HR এর মাঝে মাঝে সঠিক কর্মীকে বাছাই করণে ভুল হবার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে ভুল CV বা Resume। অনেক গ্রাজুয়েট বা চাকরীর আবেদনকারী আছে যারা তাদের CVতে সঠিক তথ্য প্রদান করে না। তারা তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরীর অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য দক্ষতা সম্পর্কে অনেক বাড়িয়ে কিংবা ভুল তথ্য দেয়। আবার অনেকেই আছে যারা তাদের CVতে অনেক রকম অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অযথা তাদের CVকে দীর্ঘায়িত করে যা পরীক্ষকদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষকরা কখনোই দীর্ঘায়িত CV বা Resume পছন্দ করে না। তাই, লম্বা CV পাঠালে সেই CV Except হবার সম্ভাবনা খুবই কম। একটি CV যত ছোট ও শুধু মাত্র নির্দিষ্ট ও প্রয়োজনীয় তথ্যে পরিপূর্ণ থাকে সেই CV গুলোই পরীক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বেশী। 

The Candidate Selection Process of HR

যে সকল আবেদনকারী মনে করে CVতে ভুল তথ্য দিয়ে CVকে দীর্ঘায়িত করে নিজের যোগ্যতাগুলোকে বাড়িয়ে কোম্পানীর কাছে উপস্থাপন করবে আর কোম্পানীও সেই বিশাল যোগ্যতার লিস্ট পড়ে মুগ্ধ হয়ে সেই আবেদনকারীকেই বাছাই করবে তবে এই ধারনা ভুল। কারণ অধিকাংশ কোম্পানীই কখনো CV দেখে সরাসরি কর্মী নিয়োগ দেয় না। তারা যাদের CV পছন্দ হয় তাদেরকে লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকে এবং সেখানে পাস করলেই অবশেষে কোম্পানীতে চাকরী হয়। এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমেই একজন প্রার্থীর সঠিক যোগ্যতা এবং পাশাপাশি সেই প্রার্থী তার CVতে ভুল তথ্য দিয়েছে নাকি সঠিক তথ্য দিয়েছে সেগুলোও যাচাই করার সম্ভব। প্রথমে আসা যাক লিখিত পরীক্ষার ব্যাপারে। একটি কোম্পানীতে পরীক্ষকরা জমাকৃত CV পর্যবেক্ষণ করে তাদের চাহিদাকে পূরণ করার জন্য প্রাথমিকভাবে যাদেরকে যোগ্যতা সম্পন্ন হিসেবে বাছাই করে তাদেরকে ডাকা হয় লিখিত পরীক্ষার জন্য। প্রায় সকল কোম্পানীতেই চাকরীর জন্য প্রার্থীদেরকে যে লিখিত পরীক্ষার সম্মুক্ষীন হতে হয় তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় Hypothetical। প্রার্থীর ইংলিশে দক্ষতা, কোম্পানী সম্পর্কে তার ধারনা, নীতি-নৈতিকতা, বিভিন্ন রকম পরিস্থিতিকে সামলানোর ক্ষমতা, তার মন-মানসিকতা, চিন্তা-ভাবনা, সারা বিশ্ব সম্পর্কে তার ধারণা, সাধারণ জ্ঞান ইত্যাদী সবকিছু সম্পর্কিত প্রশ্ন করা হয় একজন প্রার্থীকে। যে প্রার্থী যত সঠিক ভাবে এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর লিখতে পারে বা যার উত্তর গুলো পরীক্ষকদের যত বেশী গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয় শুধু মাত্র তাকেই তারা মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকে। সুতরাং একজন মানুষ বাস্তবে কেমন, সে কিভাবে চিন্তা করে, কোম্পানীর জন্য সে আসলেই কোন মঙ্গল বয়ে আনবে কিনা, এর আগে তার কোন Corporate অভিজ্ঞতা আছে কিনা, থাকলেও সে কতটুকু Corporate Culture সম্পর্কে অভিজ্ঞ, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা গুলোও তার চরিত্রের সাথে প্রতিফলিত কিনা, কিংবা কতটুকু প্রতিফলিত ইত্যাদী বিষয়গুলী সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা কিন্তু পরীক্ষকরা ঐ প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা পড়লেই বুঝে উঠতে পারে। আর এই তথ্যগুলি তাদেরকে সাহায্য করে বুঝতে যে ঐ প্রার্থীটি প্রকৃতপক্ষেই তার CVতে উল্লেখিত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কিনা নাকি CVর তথ্যগুলী সবই ভুল। সেই সাথে এই লিখিত পরীক্ষার ফলাফল পরীক্ষকদের সাহায্য করে  মৌখিক পরীক্ষার সময় ঐ প্রার্থীকে আরো গভীর ভাবে নিরিক্ষণ করতে। 

Final Stage of Evaluation: VIVA Board

অতঃপর পরীক্ষকরা যখন ভাইভা বোর্ডে তাদের লিখিত পরীক্ষা থেকে বাছাই করা কোন প্রার্থীকে ডাকে তখন সেই প্রার্থীর সরাসরি ও মুখোমুখি আচার-আচরণ, বাচন-ভঙ্গি, আদব-কায়দা সব কিছু গভীর ভাবে লক্ষ্য করে। এই বিষয় গুলো পরীক্ষা করে অনেক সময় সেই প্রার্থীর Family, Culture ও Background সম্পর্কে একটি ধারনা লাভ করা যায়। অনেক সময় দেখা যায় কোন কোন প্রার্থী খুব ভাল লিখতে পারে কিন্তু তার লেখার সাথে তার বাহ্যিক উপস্থাপন, বাচন ও চিন্তা-ভাবনার কোন মিল নেই। এ ধরণের প্রার্থীরা খুব সহজেই লিখিত পরীক্ষায় তাদের লেখার দ্বারা পরীক্ষকদের বোকা বানাতে পারে কিন্তু তারা যখন মৌখিক পরীক্ষার জন্য পরীক্ষকদের সামনে আসে তখন তারা আর নিজেদেরকে আড়াল করতে পারে না। একটি ভাইবা বোর্ডে মূলত সেই কোম্পানীর অনেক সিনিয়র ও দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন HR অফিসারেরা বসে থাকেন। তাদেরকে মুখোমুখি বোকা বানানো সম্ভব নয়। তারা একজন প্রার্থীকে প্রথম দর্শনেই এক নজরে দেখলেই বুঝতে পারেন যে এই ব্যক্তিই তাদের কোম্পানীর জন্য উপযুক্ত কিনা। অতঃপর তারা সেই প্রার্থীকে তার CVতে উল্লেখ করা শিক্ষাগত যোগ্যতা, পুর্বের কাজের অভিজ্ঞতা, অন্যান্য Non-Academic Skill ও তার লিখিত পরীক্ষার উত্তর গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায় বা নানান রকম প্রশ্ন করে।  তখন সেই প্রার্থীর দেয়া উত্তরের মাধ্যমেই তারা বুঝতে পারে প্রার্থীটি মিথ্যা বলছে নাকি সত্য। অবশেষে, এখান থেকেই তারা তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনিত হয় যে কাকে তারা কোম্পানীতে রাখবে ও কাকে বাদ দিবে।

Honesty is Always a Best Policy

সুতরাং একজন প্রার্থী যতই চালাক হোক না কেন সে কখনই কোন অসততার পথ ধরে কোন কোম্পানীতে তার কাংক্ষিত জায়গা করে নিতে পারবে কারণ এখন যুগটা অনেক Advance। কোন প্রার্থী যদি চাকরী পাবার জন্য এমন অসততার আশ্রয় নেয় এর মানে হচ্ছে সে তার নিজের ভবিষ্যতকে নিজেই নষ্ট করছে। সে যদি মিথ্যা তথ্য না দিয়ে নিজের প্রকৃত ও সঠিক যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতাগুলোকে সুন্দর করে উপস্থাপন করে তার CVতে তবে অনায়াসেই সে Employerদের নজরে আসতে পারবে। পাশাপাশি তারা Employerদের কাছে নিজের Value বাড়ানোর জন্য আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজের Website ও Video Resume তৈরী করতে পারে এবং CVতে সেগুলোর Link যোগ করে দিতে পারে। এগুলোই হচ্ছে এখনকার যুগের Smart পদ্ধতি আর এগুলো থাকতে Employerদের Impress করতে কোন ধরণের অসততার পথ বেছে নেবার কোন দরকার নেই। আর তবুও যদি কেউ মনে করে যে, সে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কোন কোম্পানীর HR ও Employerদের খুব সহজেই বোকা বানাতে পারবে তবে তাকে মনে রাখতে হবে যে প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে মানুষের চোখের আড়াল করা যায় না কোন কিছুই। এখনকার সময়ে একজন প্রার্থীর সম্পর্কে সত্য মিথ্যা জানতে লিখিত ও মোখিক পরীক্ষা পর্যন্ত যাবার কোন দরকার নেই। এর আগেই সম্ভব প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রার্থীর CVকে পর্যবেক্ষন করেই সেটি ভুল না সঠিক তা বের করা। কারণ এখন এমন সকল অনলাইন App আবিষ্কৃত হয়েছে যা খুব সহজেই একটি প্রার্থীর CVকে পর্যবেক্ষণ করে সেই প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা, পূবে কাজ করা কোম্পানীর বিবরণ, বেতন, Criminal Record, Social Status, Personality ইত্যাদী সব কিছু নির্নয় করা সম্ভব যাকে বলা হয় Applicant Tracking System (ATS)। অর্থাৎ এখন প্রযুক্তি অনেক সহজ করে দিয়েছে পরীক্ষকদের প্রার্থী বাছাইকরণ কাজ সেই সাথে প্রার্থীদেরকেও সাবধান করে দিয়েছে যে কোন ধরণের ছল-চাতুরী দ্বারা এখন নিজের Career গড়া সম্ভব নয়। সব শেষে, এখনকার যুগের প্রতিটি ছেলে-মেয়েকে মনে রাখতে হবে মিথ্যা দিয়ে কখনই কোন কিছু অর্জন করা যায় না আবার যদি অর্জন করা যায়ও, তবে ভবিষ্যতে তা কখনই ভাল পরিণতি বয়ে আনে না। মিথ্যা দ্বারা অর্জিত যে কোন কিছুরই ধবংস অনিবার্য। 

One thought on “How to Spot a Dishonest Candidate

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *