Importance of Quality of work, professionalism & official evaluation process

Importance of Quality of work, professionalism & official evaluation process

 

কিছু প্রচলিত প্রবাদ আছে যে,

“যে রাঁধে সে চুলও বাধে”

“বুদ্ধিমানরাই সময়ের কাজ সময়ে করে”

তারা কোন কাজ ফেলে রাখেনা, তারা তাদের ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মজীবনের দায় দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে থাকে। এতে করে তারা  আত্ম তৃপ্তি নিয়ে বাঁচতে পারে। অন্যদিকে কিছু মানুষের জীবনের সফলতা আটকে যায় নিজের সিদ্ধান্তহীনতায়, পারিপার্শ্বিকতার কারণ এবং কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তে।

প্রায় প্রতিটি অফিসেই এমন কিছু কর্মকর্তা/কর্মচারী আছে যারা অফিস ছুটির পরেও  ঘন্টার পর ঘন্টা অফিসে বসে থাকে। আমরা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবো যে বছরের পর বছর অফিসে  প্রমোশন কিংবা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার সময় ম্যানেজমেন্ট তাদেরকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ১টা মানুষ দিনে কত ঘন্টা মনোযোগের সাথে কাজ করতে পারেন?  নিয়োগ কর্তা আপনাকে নিয়োগ দিয়েছেন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করার জন্য, কারন তিনি খুব ভালো করেই জানেন যে এর থেকে বেশী সময় পূর্ণ মনোযোগের সাথে কাজ করা আপনার পক্ষে সম্ভব নয়।

১ জন লোক অতিরিক্ত সময়ে  অফিসে বসে থাকে তার মানে এই নয় যে সে রাজ্যের কাজ করে প্রতিষ্টানকে উদ্ধার করছে। এই অতিরিক্ত সময় বসে থাকার ২টা মানে হতে পারে, প্রথমত,  কাজ সঠিক সময়ে ও সুষ্ঠুভাবে কর্মসম্পাদনের প্রয়োজনীয় মেধা, যোগ্যতা ও কৌশল তার জানা নেই। দ্বিতীয়ত, নিজেকে অনেক ত্যাগী হিসেবে শো-অফ করে  ম্যানেজমেন্টের চোখে ধুলা দিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আদায় করা।

যে লোকটা অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত অফিসে সময় কাটায়, তার সম্পর্কে একটা ধারণা করা যায় যে, অফিসের  বাইরেও যে একটি জগত থাকতে পারে তা সম্পর্কে তিনি সম্পুর্ণ অজ্ঞ। পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সমাজ তার কাছে যথাযথ মূল্যায়ন পায়না। এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিস সম্পর্কে খুবই সামান্য জ্ঞান থাকায় সে সবকিছু সম্পর্কে সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করে নিজের জ্ঞান ভান্ডারকে পরিপূর্ন করতে পারেনি। তাই তার পক্ষে লোক দেখানো  ঘন্টার পর ঘন্টা অফিসে বসে থাকা ছাড়া অন্য কোন উপায়ে ম্যানেজমেন্টের কৃপাদৃষ্টি অর্জন করা সম্ভব নয়।

ম্যানেজমেন্টেরও কিছু বিষয় ভাবা উচিত যে, অতিরিক্ত সময় অফিসে কেউ বসে থাকলে শুধুমাত্র তার জন্য অফিসের এসি,বাতি চলতে থাকে  ও অন্যান্য খরচাদি বাড়তে থাকে। তাই ম্যানেজমেন্টের উচিত প্রমোশন ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে সম্পাদনকৃত কাজের মূল্যায়ন করা। প্রমোশন বা মূল্যায়নের জন্য কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটি কাজকে বিবেচনা করা।

অপরদিকে যারা সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে অপারগ, অযোগ্য, শো-অফ করে ও অতিরিক্ত সময় অফিসে বসে থেকে প্রতিষ্ঠানের খরচাদি বাড়িয়ে তোলে তাদের পেনাল্টি করা। এতে করে এই চর্চা থেকে তারা ফিরে আসবে এবং প্রকৃত পরিশ্রমীই সফলতা পাবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *