Passive Income: Safe & Lifelong Income at Home !
Passive Income বিষয়টি ইদানিং খুব বেশী শোনা যাচ্ছে এবং এরই মাঝে বেশ জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে Passive Income আসলে কি? এই প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে চলুন একবার আমাদের নিজেদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে একটু চোখ বুলিয়ে নেই।
Our Daily Living Routine
আমাদের জীবনটিকে যদি আমরা ২ ভাগে ভাগ করি তবে আমরা পাবো, ছাত্রজীবন ও চাকরী জীবন। ছাত্রজীবনে আমাদের দেশের অধিকাংশ তরুণদেরই তরুণীদের দৈনন্দিন জীবনের চিত্র হচ্ছে ক্লাস> আড্ডা> খাওয়া> ঘুম । এর বাহিরে খুব কম সংখ্যক ছেলে-মেয়েই আছে যারা অন্য কিছু করার চেষ্টা করে। আবার যারা চাকরী করছে তাদের দৈনন্দিন জীবনের রুটিনটি যদি আমরা দেখি তবে পাবো ঘুম থেকে ওঠা> অফিস> লাঞ্চ> বাসায় ফেরা> ডিনার> ঘুম। আর যদি আমাদের গোটা জীবনকেই আমরা ছকের মধ্যে আনতে চাই তবে আমরা পাবো পড়াশোনা> ভাল সিজিপিএ পাওয়া> চাকরি জোটানো> পারফর্ম করা> প্রোমোশন অর্জন> বেতনের ডিজিট বাড়ানো> এক্সিকিউটিভ থেকে কবে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হবো? অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, ম্যানেজার, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এগুলো আর কত দূর সেই টেনশন।
Passive Income – What & How ?
এই চক্রের বাইরে চাইলেও আর বের হওয়া যাচ্ছেনা। ততদিনে মাথায় অনেক দায়িত্ব। বেতনের টাকা হিসাব করে খরচ করতে হয়। মাঝে মাঝে মনে হয়, চাকুরীর বাহিরে সামান্য কিছু ইনকাম থাকলে এতটা অসহায় লাগত না। এসব সমস্যার যে সমাধান তারই নাম হচ্ছে Passive Income। চাকরী করছেন ভালো কথা। এর বাইরেও আপনার ছোট ছোট ইনকামের দরজা খোলা থাকবে। আর সেটাই হবে আপনার Passive Income।
এখন অনেকেই হয়তো বুঝতে পারছেন না এই Passive Income বলতে আসলে কোন কোন কাজ গুলোকে বোঝায় যার দ্বারা চাকরী ও পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি টাকা উপার্জন করা যাবে। মূলত Passive Income বলতে এমন কোন এক Income Source বোঝায় যেখানে অল্প পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করে দীর্ঘ মেয়াদী একটি আয়ের সংস্থান তৈরী করা যায়। এই খাতে কাজ করতে গেলে অফিসে বসার বা কোথাও দৌড়াদৌড়ি করার কোন প্রয়োজন নেই। যে কেউ তার দৈনন্দিন পড়াশোনা বা অফিসের পাশাপাশি ঘরে বসেই এ ধরণের কাজ করতে পারে। আর Passive Income এর মূল সংজ্ঞাই হচ্ছে এটি এমন এক ধরণের Income, যেখানে একবার কাজ করে চুপচাপ বসে থাকলে Autometically সেখান থেকে আয় আসতে থাকবে আর এ কারণেই এখান থেকে কম পরিশ্রমে ঘরে বসে বসে আয় করা সম্ভব।
Example of Potential Passive Income
এ ধরণের Passive Income-র উদাহরণ দিতে গেলে যে নামগুলো আসবে তা হলো Blogging, Affiliate Marketing, Online Course Making, App Design, Website Making, Youtube Content Making, Share Market Investment, Mutual Fund Investment, FDR, E-Book Writing, Digital Product Selling এমন আরও অনেক কিছু। আপনি কী করবেন তা নির্ভর করে আপনার দক্ষতার উপর। এই পেশাগুলোতে কাজ করার প্রধান সুবিধাই হচ্ছে এখানে প্রতি দিন ২৪ ঘন্টা করে সময় দেবার কোন প্রয়োজন নেই। এখানে একবার ভাল ভাবে সময় দিতে পারলেই এখানে থেকে Passively Income আসতেই থাকবে আর এই কারণেই এগুলোকে বলে হয় Passive Income।
Golden Opportunity for Young Generation
কয়েক দশক আগের চেয়ে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। তরুণরা এখন অনেক বেশি Innovative। নিজেদের Passionকে Profession হিসেবে গ্রহণ করতে উৎসাহী। আর এখন এই Technology এর যুগে তরুনদের জন্য অনেক নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হয়েছে যেখানে তাদের কোন রকমের শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই। এ সকল সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যে কারো পক্ষেই Passive Income এর মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা উপার্জন করা সম্ভব। এর জন্য শুধু মাত্র প্রয়োজন সব সময় চোখ কান খোলা রাখা ও সঠিক Platform এ নিযুক্ত থাকা।
Alternative Way of Earning
একজন মানুষের নানান বিষয়ে দক্ষতা, শখ ও আগ্রহ থাকতে পারে। সে যদি নিজের Regular Job এর পাশাপাশি ঐ বিষয়গুলোকেও নিজের বিকল্প একটি উপার্জনের মাধ্যমে পরিণত করে নেয় তবে তার আর ভবিষ্যত নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না কারণ এ যুগে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট উপার্জনের উপর নির্ভর করা ঠিক না। সকলেরই উচিত চাকরীর পাশাপাশি একটি আলাদা উপার্জন Backup হিসেবে রাখা যেন কখনও যদি তার Job Life এ কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় তখন যেন তাকে রোজগার নিয়ে কোন চিন্তা করতে না হয় অর্থাৎ উপার্জনের বিকল্প উপায় হাতে থাকলে আপনি যে কোন Critical সময়ে আরেকটু স্থির, নির্ভার হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। পাশাপাশি একজন মানুষের যদি ২টি ইনকাম সমান্তরালে চলতে থাকে তবে সে চাইলে খুব সহজেই একটি মানসম্মত জীবনযাত্রার অধিকারী হতে পারে এবং পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্যও সে Savings করতে পারে।
Safe Income at Home
Passive Income এর সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি ঘরে বসে বা যেকোন স্থানে থেকে নিজের সুবিধামত কাজ করা যায়। এর জন্য দরকার নেই বড় কোন অফিস, দরকার নেই দুর-দুরান্ত থেকে বাসে ঝুলে এসে অফিস করার ঝক্কি-ঝামেলা, দরকার নেই প্রতি নিয়ত অফিসে বসের বেখেয়ালী আবদার ও কথা শোনার। এই ইনকামে মানুষ নিজেই নিজের বস ও নিজেই নিজের কর্মী। মোটকথা, কোন ধরণের যাতায়াত ও অন্যান্য ঝামেলা না থাকার কারণে একজন মানুষ অফুরন্ত কাজ করার সময় ও সুবিধা লাভ করে যেকোন ধরণের Passive Income জনিত পেশায়। সব থেকে বড় যে সুবিধাটি হলো, মাঝে মাঝেই দেশ ও জাতির সামনে বড় বড় সংকটময় পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে উদাহরণ স্বরূপ রাজনৈতিক অস্থিরতা, বৈশ্বিক মন্দা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগের প্রাদুর্ভাব, মহামারী ইত্যাদি।
এমন পরিস্থিতিতে সকল প্রকার অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়, মানুষের ঘরের বাহিরে চলাফেরা করতে সমস্যা হয়, যার ফলে মানুষের যে সকল নিত্য নৈমিত্তিক পেশা রয়েছে, সেগুলো সব অচল হয়ে পড়ে। আর এই সময়ে এক মাত্র Passive Income ই পারে মানুষের এই দুর্দিনে চলার উপায় হয়ে দাঁড়াতে।
আজকের বিশ্বে আমরা জানি যে, যখন মানুষের Real World এ চলাফেরা ও কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় তখন তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ে Virtual World, এবং আস্তে আস্তে ভবিষ্যতে গোটা পৃথিবী পূর্ণ হয়ে যাবে Virtual World কেন্দ্রীক, যখন অফিস-আদালতের সকল কাজ ও ব্যবসা বানিজ্য চলবে Online এ। সুতরাং, যারা আগে থেকেই Virtual World এ নিজের একটি শক্ত অবস্থান গড়ে নিতে সক্ষম হবে, ভবিষ্যত পৃথিবীর অর্থনীতি ও ক্ষমতা থাকবে তাদেরই হাতে। আর এই Virtual World এ শক্ত অবস্থান গড়তে Passive Income এর কোন বিকল্প নেই।
It’s Time to Start
অবশেষে সব মিলিয়ে ছাত্রজীবন হোক বা কর্মজীবন, একটি মানুষের জীবনে Passive Income এর গুরুত্ব সর্বদাই অপরিসীম। তাই এখনই সময়, নিজের গুণ, দক্ষতা বিচার করে সিদ্ধান্ত নিন আপনার Passive Income এর জন্য কোন সেক্টরটি সব থেকে বেশী সম্ভাবনাময় এবং নেমে পড়ুন এই সম্ভাবনাকে সঠিক পথে কাজে লাগিয়ে নিজের জীবন বদলাতে।