Young Generation Needs To Focus On Career & Skill Development, Leaving Aside The Western Non-culture
একটি দেশের সব থেকে বড় জনশক্তি হচ্ছে সেই দেশের তরুণেরা। আজকের যুবসমাজই হচ্ছে আগামীর ভবিষ্যত। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা লক্ষ্য করছি যে, তরুণদের যে বয়সে জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর সময়, যে বয়সে তরুণরা Innovation নিয়ে আলোচনা করবে, Entrepreneur হবে, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে লড়াই করে নিজের তারুণ্য প্রমাণ করবে তার পরিবর্তে বর্তমানে ৯৯% তরুণ তরুণী কিংবা ছাত্র ছাত্রীরা ভুল কালচার, গান-বাজনা ও অপসংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরছে। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও তারা পশ্চিমাদের নন-কালচার নিয়ে পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে উন্নত দেশগুলোতে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সেখানকার তরুণরা সর্বদা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ফলো করছে। আমরা যদি ইসরায়েলিদের কথাই বলতে চাই, তবে আমরা দেখবো যে তারা তাদের নিজস্ব ধর্মীয় শিক্ষা, সংস্কৃতি কিভাবে ধরে রাখা যায়, নিজেদের মধ্যে বন্ডিং কিভাবে বাড়ানো যায়, টেকনোলজিতে কিভাবে সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়া যায়, ক্রিয়েটিভিতে কিভাবে সকলের থেকে এগিয়ে থাকা যায়, ছোটদের কিভাবে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের শিক্ষা দেয়া যায়, কিভাবে সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবার জন্য লিডার তৈরী করা যায়, যুব সমাজের কোন কোন জায়গায় ঘাটতি রয়েছে ও সেগুলো কিভাবে পূরণ করা যায় সেই সব কিছু নিয়ে অবিরাম ভাবছে এবং কাজ করছে। অর্থাৎ সহজ কথায় বলতে গেলে, আমরা যেমন একটি ফুটবলকে নিয়ে ১১ জন মিলে মাঠে খেলি; তেমনি তারা বর্তমানে গোটা বিশ্বটাকে একটি ফুটবল বানিয়ে নিজেরাই ফাঁকা মাঠে অবিরাম গোল করে আসছে।
এদিকে আমরা অনবরত পশ্চিমাদের ক্রমাগত উন্নতি দেখেও চুপ করে বসে থাকি। অথচ আমরাই আবার সর্বদা বলে বেড়াই যে আমরা জ্ঞানে, বিজ্ঞানে, অর্থনীতিতে, শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে সকলের থেকে সেরা হতে চাই। কিন্তু কিভাবে ? আমাদের যুব সমাজ যদি নিজস্ব শিক্ষা, সংস্কৃতি বাদ দিয়ে সর্বদাই অপসংস্কৃতির পিছনে নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে তবে কখনই তা সম্ভব নয়। তবে, আমরা চাইলেই কিন্তু এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারি। এর জন্য আমাদের তরুণদের উচিত নিজেদের শিক্ষা, জ্ঞান, দক্ষতা ও সময়গুলোকে নিজেদের জীবন ও ক্যারিয়ার গঠণের পিছনে ব্যয় করা। কিভাবে বিজ্ঞানে, গবেষণায়, মানব জীবন চালনে, উন্নত শহর গঠনে আমরা সারা পৃথিবীতে সেরা হতে পারি সেই নিয়ে আমাদের যুব সমাজকে ভাবতে হবে। ভবিষ্যতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও উদ্যোক্তা তৈরির জন্য তরুণদের নিজ নিজ দক্ষতা বাড়াতে হবে। তারা নিজেদের Best Practise গুলোকে একে অন্যের সাথে শেয়ার করবে, বিভিন্ন Extra-curricular activities ও সৃজনশীল গ্রুপে তারা অংশগ্রহণ করবে যেন তারা তাদের দক্ষতা প্রমাণ করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে সমাজ ও দেশকে নেতৃত্ব দেবার জন্য নিজেদের তৈরী করতে পারে। সেই সাথে আমাদের দেশের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিরা এবং পিতামাতাদেরও উচিত এই তরুণদের মেধার বিকাশকে উৎসাহিত করা এবং তাদেরকে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে নয় বরং নৈতিকতা ও মূল্যবোধের পথে চলার দিক নির্দেশনা দেয়া। আমাদের পূর্বসূরী এবং মহান ব্যক্তিরা আমাদের দেশ ও সমাজের উন্নয়নে কি কি অবদান পালন করেছিলেন সেই সকল ইতিহাস জানতে ও সেখান থেকে আমাদের তরুণ সমাজের সঠিক শিক্ষা নিতে হবে। মোটকথা, পশ্চিমাদের নন-কালচার থেকে বের হয়ে আজকের তরুণ সমাজকে Innovation এর দিকে এবং STEM অর্থাৎ Science, Technology, Engineering, Mathmetics এর দিকে ধাবিত করলে তবেই বাংলাদেশ পৃথিবীতে সকল স্তরে নেতৃত্ব প্রদান করতে সক্ষম হবে।