Guidelines for HR Accountability

Guidelines for HR Accountability

একটি কোম্পানীকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কোম্পানীর সকল Employeeদের Accountability অত্যান্ত জরুরী। আমরা সকলেই জানি যে Accountability অর্থ দ্বায়িত্ববোধ। অর্থাৎ একজন Employee তার কোম্পানীর নিকট যে পরিমাণ দ্বায়িত্ব ও কর্তব্যের বাধনে আবদ্ধ তা সে সঠিক ভাবে পালন করছে কিনা। একটি কোম্পানী তখনই সাফল্যের পথে এগিয়ে যায় যখন সকলে তাদের নিজ নিজ দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য সমূহ ঠিক ভাবে পালন করে। একজনের অবহেলাও তার কোম্পানীর জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই নিজ নিজ কর্মস্থানে সৎ ও দ্বায়িত্বশীল থাকাটা শুধু মাত্র মানুষের নৈতিক দ্বায়িত্বই নয় বরং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

পৃথিবীর সকল ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থও বলে গেছে মানুষের কর্ম ও তার কর্মস্থানের প্রতি দ্বায়িত্বের কথা সম্পর্কে। মানুষের কর্ম হচ্ছে তার এক ধরনের ইবাদত ও আরাধনার মত। মানুষের কর্মস্থল হচ্ছে তার জন্য একটি পবিত্র জায়গা কারণ এখান থেকেই তার রুটি-রুজির সংস্থান হয়। তাই প্রতিটি মানুষের তার কর্ম ও কর্মস্থলে সৎ থাকাটাও সৃষ্টিকর্তার প্রতি এক ধরনের ইবাদতের সমতুল্য। অনেকেই আছে যারা অসৎ উপায়ে টাকা রোজগার করে, অনেক ব্যবসায়ী আছে যারা ক্রেতাদের ঠকিয়ে টাকা আয় করে, অনেক অফিসের কর্মচারীরা আছে যারা অফিসে তাদের কাজটি ঠিক ঠাক পালন করে না ও কাজে ফাঁকি দেয়। এগুলো সব কিছুই প্রতারণা। এ প্রতারণা শুধু মানুষের সাথে নয় বরং সৃষ্টিকর্তার সাথেও প্রতারণা। কারণ সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সকল প্রকার বিদ্যা-বুদ্ধি, জ্ঞান ও শারীরীক ক্ষমতা দিয়েছেন সৎ পথে আয় করতে ও মানুষের সেবা করতে। কিন্তু সেই সকল ক্ষমতা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আজ অনেকেই লোভের পথে পা বাড়িয়ে দেশের ও দশের ক্ষতি করছে।

আর এই কারণে সকল কোম্পানীর সকল Employeeদের তাদের কাজ ও কর্মস্থানের প্রতি Accopuntable থাকা উচিত। এখন কিভাবে তারা তারা তাদের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য সমূহ সুষ্ঠুভাবে পালন করবে এ ব্যাপারে Human Resource সম্পর্কিত নানান রকম দিক নির্দেশনা রয়েছে যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো,

  1.      Fix a Deadline:

প্রায় প্রতিটি কোম্পানীতেই Employeeদের নানান রকম কাজের সাথে নিযুক্ত থাকতে হয়। দেখা যায় একজনের হাতেই অনেক গুলো কাজ রয়েছে অর্থাৎ যাকে বলে Multi Tasking। পাশাপাশি যারা Target ও Project নিয়ে কাজ করে তাদের মাস ভেদে Deadline ঠিক করা থাকে। অর্থাৎ বিষয়টি হচ্ছে প্রতিটি Employeeদেরকে তাদের সকল প্রকার কাজের একটি Deadline স্থির করতে হবে। যাদের হাতে একের অধিক কাজ রয়েছে তারা সেই কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী Deadline স্থির করলে তারা অনায়াসেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের কাজ গুলো ঠিক মত সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।

  1. Set a Priority:

পূর্বেই বলেছি একজন Employee এর হাতে একের অধিক কাজ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সকল কাজ গুলোকে সঠিক সময় অনুযায়ী শেষ করার একমাত্র উপায় হচ্ছে কাজ গুলোর গুরুত্ব অনুযায়ী Priority ঠিক করা। একজন Employeeকে বুঝতে হবে যে এই মূহুর্তে তার বা তার কোম্পানীর জন্য কোন কাজটি শেষ করা অধিক গুরুত্বপুর্ণ। এই Priority যদি সে ঠিক করতে পারে তবে সে সময় মত সব গুলো কাজ শেষ করে তার কোম্পানীকে সন্তুষ্ট করতে পারবে।

  1. Fix a Monthly Target:

প্রায় প্রতিটি কোম্পানীতেই সকল Employeeদের মাস ভিত্তিক মুল্যায়ন হয়ে থাকে। যে সকল Employeeদের Monthly Peroformance অনেক ভাল থাকে তারা বছর শেষে পুর্ণাংগ একটি মূল্যায়নের মাধ্যমে Promotion ও Incriment সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা লাভ করে থাকে। তাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভাল করতে হলে প্রতিটি Employeeদের উচিত তাদের চলতি মাসের একটি Target স্থির করা যে তারা কিভাবে তাদের কাজ গুলোকে ঠিক ভাবে সম্পন্ন করে তাদের Performanceকে আরো বেশি করে Highlight করতে পারে। মনে রাখতে হবে যে, যারা তাদের প্রতি মাসের কাজ গুলো অবহেলা করে তারা কখনই বছর শেষে একটি ভাল ফলাফল Management এর নিকট পেশ করতে পারবে না।

  1. Set Goal with Company’s Motto:

প্রতিটি কোম্পানীরই একটি নিজস্ব Target বা Goal থাকে যা সম্পন্ন করার জন্য ঐ কোম্পানীর সকল Employeeদেরকে নিরলসভাবে কাজ করতে হয়। কিন্তুই কেউ একা কখনো একটি কোম্পানীর পূর্নাংগ Goal সম্পন্ন করতে পারে না। এর জন্য প্রতিটি Employeeদেরকে কোম্পানীর পূর্ণাংগ Goal এর উপর ভিত্তি করে তাদের নিজ নিজ কাজের Goal ও Target ঠিক করে নিতে হয়। অতঃপর সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যখন সকলে তাদের নিজ নিজ Target পূরণ করতে সক্ষম হয় একমাত্র তখনই কোম্পানী পারে তার পূর্নাংগ Goal টি অর্জন করতে। যেমন একটি ফুটবল ম্যাচে কিন্তু কেউ একা একা খেলে ম্যাচ জেতাতে পারে না। প্রতিটি খেলোয়াড় তার নিজ নিজ অবস্থানে থেকে গোল দেবার চেষ্টা করার ফলেই অবশেষে একজন সক্ষম হয় বল নিয়ে গোলপোস্টে পৌছে গোল দিতে। অতঃপর এই গোলটি তখন হয় গোটা টিমের জন্য একটি সম্মিলিত অর্জন। 

  1.     Task Accomplishment:

কোন একটি কাজের Target, Deadline, Priority, Goal ঠিক করার পর এর পরের পর্যায়টি আসে Accomplishment। অর্থাৎ কাজটি ঠিক মত শেষ করা। অনেকেই আছে। সব কিছু Maintain করে ঠিক মত কাজটি শুরু করে কিন্তু এরপর আর সেটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না বা অন্য কাজের ভিড়ে ভুলে যায় বা অন্য কারও হাতে কাজটির দ্বায়িত্ব দিয়ে আর কোন খোজ রাখে না। এমনটি করা যাবে না। একটি কাজ একবার শুরু করলে সেটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার পিছনে লেগে থাকতে হবে। কাজটি সম্পন্ন করার দ্বায়িত্ব যদি অন্য কারও হাতে চলে যায় তবে তাকে সময় মত Folow-up করতে হবে। শেষ পর্যন্ত Coordination বজায় রাখতে হবে। অতঃপর এভাবে Sincererity বজায় রাখলে কোম্পানীর কোন কাজই কখনো Pending অবস্থায় থাকবে না। 

  1. Focus on Revenue/Outcome:

একজন Employee তার সারা জীবন যত কাজই করুক না কেন, তাকে তার কাজ গুলোকে ঐ কোম্পানীর Revenue এর সাথে সম্পর্কিত করতে হবে। অর্থাৎ একজন Employee যদি কোম্পানীর Revenue আয়ে অবদান রাখতে পারে, তবেই তার কাজ গুলো মূল্যায়নযোগ্য হবে। আর এ কারণে প্রতিটি Employeeকে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে যে কিভাবে তার কাজ গুলোকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে Revenue এর সাথে সংযোগ স্থাপন করানো যায়।

  1. Performance Satisfaction:

একজন Employee এবং তার কোম্পানী দুটিই একে অপরের সাথে অতপ্রতভাবে সম্পর্কিত। একটি ছাড়া অন্যটির অস্তিত্ব কল্পনা করা সম্ভব নয়। তাই এই দুটির অবস্থানকে সুষ্ঠুভাবে টিকিয়ে রাখতে হলে Satisfaction থাকাটা অত্যান্ত জরুরী। অর্থাৎ Employee এর কাজের প্রতি কোম্পানীর যেমন Satisfaction থাকতে হবে, তেমনি কোম্পানীর মূল্যায়নের প্রতিও Employee এর Satisfaction থাকতে হবে। আর এভাবে এই দুটি সম্মিলিত সম্পর্কের মাধ্যমে Employeeদের Accountability নিশ্চিত সম্ভব আর Accountability নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সম্ভব Revenue নিশ্চিত করা।

  1. Value Addition:

প্রতিটি Employeeদের তাদের নিজস্ব নির্ধারিত কিছু কাজ থাকে যা শুধু তাকেই করতে হয়। সকলেই তাদের এই নির্ধারিত কাজ গুলো সঠিকভাবে করে থাকে কিন্তু বছর শেষে Promotion হয় তাদেরই যারা নিজ উদ্যোগে এই নির্ধারিত কাজের বাহিরেও কোম্পানীর জন্য কোন অবদান রেখে থাকে যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোম্পানীর Revenue, Marketing, Reputation ইত্যাদী বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত। আর একেই বলে Value Addition।

  1.       System-Based Assessment:

প্রতিটি কোম্পানীতে HR এর একটি নিজস্ব Module থাকে Employee Assessment এর জন্য। Employee Assessment  বিষয়টি অত্যান্ত স্পর্শকাতর একটি ব্যাপার কারণ এখানে একজন Employee এর সারা মাস/বছরের Performance এর যোগ্য মুল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে তার Promotion/Incriment ইত্যাদী নির্ভর করছে। তাই এখানে যেন কোন ভুল না হয়, গোটা প্রক্রিয়াটি যেন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয় তা নিশ্চিত করা HR এর পরম দ্বায়িত্ব। সেই সাথে Employeeদেরও দ্বায়িত্ব হচ্ছে উক্ত HR Module System এর সাথে নিজের Performance গুলোকে সম্পর্কিত করে কোম্পানীর Policy অনুযায়ী Report প্রদান করতে থাকা। তবেই উক্ত Module এর পক্ষে সম্ভব হবে সেই Employee এর যোগ্য মুল্যায়ন নিশ্চিত করা। 

  1.       Personal Assessment:

একটি কোম্পানীতে প্রায় সকল Employee কম বেশী কাজ করে থাকে এবং তাদের কাজের ভিত্তিতে কোম্পানীও মাস ও বছর শেষে তাদের Assessment করে থাকে। কিন্তু এর পরেও কোম্পানীর Employeeদের তাদের নিজস্ব Personal Assessment থাকা উচিত। অর্থাৎ তাদের নিজেদের প্রতি সৎ থাকা উচিত যে তারা তাদের কাজ গুলো সঠিক ভাবে সম্পন্ন করেছে কিনা। তারা যে বেতন পাচ্ছে সেটার সঠিক মূল্যায়ন তারা করতে পারছে কিনা। এই Personal Assessment অনেক ক্ষেত্রেই কর্মীদের কাজে আরো বেশী মনোযোগী ও পরিশ্রমী হতে উদ্দীপনা প্রদান করে। শুধুমাত্র কাজের ব্যাপারেই নয়, একজন Employee এর চারিত্রিক গুণাবলীও তার Personal Assessment এর একটি অংশ। তাকে তার সকল colleague ও কোম্পানীর অন্যান্য Employeeরা কিভাবে দেখে, পছন্দ করে নাকি অপছন্দ করে এই সব কিছুই তাকে বুঝতে নহবে এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে Assessment এর মাধ্যমে Develop করতে হবে। 

  1.      Personal Satisfaction:

Personal Assessment এর পরেই আসে Personal Satisfaction. কারণ একজন Employee যখন সততার সাথে তার কাজের মূল্যায়ন করতে সক্ষম হবে যে সে কতটা Dedication এর সাথে তার কোম্পানীর প্রতি দ্বায়িত্বশীলতা পালন করছে, তখনই তার মনে সন্তুষ্টি আসবে। অতঃপর সে যখন তার কাজগুলোকে সঠিকভাবে দ্বায়িত্বশীলতার সাথে সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে তখন সে উপলব্ধি করবে যে তার হাতে আর কোন Extra Load নেই। তখন সে কোম্পানীর প্রতি Value Addition ও Revenue Generate এ নিজেকে  আত্মনিয়োগ করতে পারে।

  1.      Self Development:

একজন Employee যদি অল্প সময়ের মধ্যেই ভাল কোন অবস্থানে যাবার প্রতি উচ্চাকাংক্ষী হয়ে থাকে, তবে তাকে অবশ্যই Self Development করতে হবে। বর্তমান সময়ের সাথে সম্পর্কিত সকল প্রকার প্রযুক্তি ও New Official Terms এর সাথে নিজেকে অভ্যস্ত করতে হবে। আর এই লক্ষ্যে সে চাইলে যেকোন Online Course, Youtube ইত্যাদী মাধ্যম থেকে তার প্রয়োজনীয় শিক্ষাগুলো গ্রহণ করতে পারে। যে যত নিজেকে তার কোম্পানীর নিয়ম ও প্রযুক্তির সাথে Adapt করতে সক্ষম হবে, কোম্পানীও তাকে তত বেশী মূল্যায়ন করবে।

  1.    Enhance various Brand Values for the Organization through Daily or Ongoing Visualization

প্রতিটি Employee এর উচিত তাদের দৈনন্দিন কাজগুলোকে সঠিকভাবে Visualization এর মাধ্যমে কোম্পানীর প্রতি Value Addition এ যুক্ত করা। আর এ কারণে Employeeদেরকে অবশ্যই দুরদর্শী হতে হবে। তাদের আশে পাশে সমাজে প্রতিদিন কি কি ঘটছে এবং সেখান থেকে কি কি Opportunity খুঁজে বের করা যায় এবং সেগুলো) কোম্পানীর Value Addition এ যোগ করা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। একটি কোম্পানীর Employeeরা নিজেরা যে কাজ গুলো করছে তা সম্পর্কে তাদের বিস্তারিত জ্ঞান থাকতে হবে এবং পাশাপাশি কোম্পানীর প্রতিটি Sector সম্পর্কে তথ্যও তাদের নখদর্পনে থাকতে হবে। একমাত্র তখনই সম্ভব হবে সঠিক সুযোগটি হাতে পাওয়া মাত্রই তাদের দক্ষতা, জ্ঞান ও তথ্যের সমন্বয়ে কোম্পানীর প্রতি Value Add করা।

  1.       Routine Job need to be Accurate, Which Enable an Employee to Get Increments:

একজন Employee এর যে সকল Routine Job আছে প্রতিদিন, সেগুলোকে সঠিক দ্বায়িত্বশীলতার সাথে শেষ করতে হবে। দৈনন্দিন কাজে কখনো ফাকি দেয়া যাবে না। কারণ দিনের কাজ গুলো যদি সময়মত শেষ করা না হয় তবে কাজের প্রেশার বাড়তেই থাকবে আর সেটা তখন প্রভাব ফেলবে উক্ত Employee এর Performance এ। যেমন, একটি কোম্পানীর Web Team অনেক ব্যস্ত একটি Department। তাদেরকে প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন সমস্যা ও Challenge এর মুখোমুখি হতে হয়। আর এই জন্য সেই সকল সমস্যা সমাধান ও Challenge মোকাবিলা করতে তাদেরকে তাদের নিজ নিজ Sector এর Update Technology সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান নিয়ে রাখতে হয়। Compititive Analysis ও Technological Development ছাড়া যে কারো পক্ষে তার Routine Job গুলো সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে আর বছর শেষে এটি প্রভাব ফেলবে Employeeদের Promotion ও Increment এ। 

  1.        Find New Job/Opportunity:

অনেক Employee আছে যারা মুলত একটি গতবাধা নিয়ম বা ছকের মধ্যে কাজ করে। তাদের যেটুকু কাজ দেয়া হয় তারা শুধু সেটুকুই সম্পন্ন করে। এর বেশি কিছু তারা করতে চায় না। এ সকল Employeeদের Career খুব বেশী দূর যেতে পারে না কারণ তারা একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যেই থাকে আজীবন। সুতরাং, যদি কোন Employee নিজের careerকে সফলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তবে তাকে সর্বদা নিত্য নতুন কাজ ও সুযোগ সন্ধান করতে হবে। তবে অবশ্যই নিজের Onging Job এর ক্ষতি করে নয়। একজন Employee যপদি মনে করে যে সে আরো বেশী Load নিতে সক্ষম তবে সে তার কোম্পানী বা Supervisor এর নিকট আরো অধিক কাজের জন্য আবেদন করতে পারে। অতঃপর শুধু আবেদন করলেই হবে না। কোম্পানীর Policy অনুযায়ী তাকে একটি Presentation দিতে হ্যবে বা প্রমাণ করতে হবে যে সে কিভাবে তার কাজের Load বাড়িয়ে কোম্পানীর Value Additon এ Contribute করতে পারে। আর এভাবে যদি সে কোম্পানীকে সন্তুষ্ট করতে পারে, তবে সে অনায়াসেই তার কাংক্ষিত সফলতা অর্জন করতে পারবে। 

  1.       Follow-up/Coordination:

একটি কোম্পানীতে প্রতিটি Employee একের অধিক কাজের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকে। অনেকের অনেক গুলো Project থাকে। আবার প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কাজ আস্তে থাকে। এই সকল কাজের Tracking রাখা একজন যোগ্য Employee এর দ্বায়িত্ব। একজন Employee তার Task List এ যতগুলো কাজের সাথে যুক্ত আছে, সেগুলো সময় মত শেষ করার জন্য সেই কাজের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে তার Folow-up এর মধ্যে রাখতে হবে, মাঝে মাঝে নিজে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে, কাজটি যেন সহজে ও জলদি শেষ হয়ে যায় সেই জন্য তাকে সাধ্যমত সাহায্যও করতে হবে। সর্বোপরি কাজটি শুরু থেকে শেষ না হওয়া পর্যন্ত একটি সফল Coordination বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি তাকে এতাও লক্ষ্য রাখতে হবে যে কোন কাজের যেন Repeation না হয়। একটি কোম্পানীতে যেহেতু প্রচুর কাজ হয় তাই দেখা যায় যে একটি কাজের দ্বায়িত্ব কয়েকজন আলাদা আলাদা ভাবে পেয়েছে। তাই সকলকে খেয়াল রাখতে হবে যে তার কাজটির দ্বায়িত্ব যেন শুধু তার উপরই থাকে। একটি কাজের দ্বায়িত্ব কয়েকজন নিলে অযথাই পন্ডশ্রম হবে।

  1.       Leadership:

একটি কোম্পানীতে খুব দ্রুত উন্নতির একটি মোক্ষম উপায় হচ্ছে নিজেকে Leader হিসেবে গড়ে তোলা ও কোম্পানীর যে কোন সমস্যায় নিজ উদ্যোগে এগিয়ে এসে তার সমাধান করা। একজন Leaderকে অবশ্যই তার Subordinate দের মাঝে এমন ভাবে কাজ গুলোকে ভাগ করে দিতে হবে এবং তাদেরকে সেই ভাবে Lead দিতে হবে যেন তারা ১০০% Automated পদ্ধতিতে তাদের কাজগুলোকে শেষ করতে পারে। এভাবে যদি একজন Leader তার কাজ গুলোকে দ্বায়িত্বশীলতার সাথে শেষ করতে পারে তখন সে কোম্পানীর নিকট আরো কাজের Load ও Responsibility  চাইতে পারে। সেই সাথে উক্ত Responsibility গুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করে নিজেকে প্রমাণ করার মাধ্যমে সে তার অবস্থানটিকেও আরো উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। 

  1.        Salary Fix-up:

কোন Employee যদি মনে করে থাকে যে, সে তার যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী তার কোম্পানীতে আরো বেশী Contribution করতে সক্ষম আর এই কারণে তার Positionও আরো বেশী উচ্চতর হওয়া উচিত, তখন সে নিজেকে সেই অনুয়ায়ী কোম্পানীর নিকট কোম্পানীর Policy অনুযায়ী Presentation বা অন্য কোন মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারে। অতঃপর কোম্পানী যদি তাকে সত্যিই যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করে তবে অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পদান করা হবে। আর যদি সে ঐ সকল দ্বায়িত্ব পালনে সফল হয় তবে সে অনায়াসেই তার কাংক্ষিত Position লাভ করতে সক্ষম হবে। আর এর জন্য শুধু প্রয়োজন Self Development, Hard Work ও Dedication। 

  1.       Promotion Policy:

একটি সময় ছিল যখন কোন Employee চাকরীতে যোগদানের পর তাকে বলা হত দেড় বা ২ বছর পর সে যখন Permanet হবে তখন সে কোম্পানীর Policy অনুযায়ী Promotion এর জন্য Apply করতে পারবে কিন্তু এখন আর সেই System নেই। এখন একজন Employee এর মূল্যায়ন হয় সম্পূর্ণ তার Performance এর উপর। অর্থাৎ কোন Employee যদি তার কাজে যোগদানের পরে তার Self Development, Technological Development, Value Addition, Revenue Generate ইত্যাদী বিষয়ে বিশেষ রকমের অবসান রাখতে সক্ষম হয় তবে সে অচিরেই কোম্পানীর নিকট হতে Promotion পাবার যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হবে। 

  1.      Increment Policy:

একটি কোম্পানীতে প্রতি বছরই সকল Employeeদেরকে একটি নির্দিষ্ট হারে Increment দেয়া হয়। আবার কোন Employee যখন কোম্পানীর জন্য বিশেষ কোন অবদান রাখে তখন তাকে একটি Special Allowance দেয়া হয়। এই সব কিছুই একজন Employee এর Position কে উন্নত করতে সহায়তা করে। আর এর জন্য প্রয়োজন উক্ত Employee এর কিছু Extra Contribution। অর্থাৎ একজন Employee যদি তার Mangementকে জানায় যে সে একাই আরো ২/৩ জনের কাজের চাপ সামলাতে সক্ষম হবে এবং সেটি যদি সে management এর নিকট প্রমাণ করতে পারে তবে, management খুব সহজেই তাকে একটি Special Allowance প্রদান করবে তার সেই বাড়তি কাজ বা Contribution এর জন্য। তাই কোন Employee যদি উচ্চাকাংক্ষী ও পরিশ্রমী হয় তবে, সে অনায়াসেই সেই সুবিধাটি হাসিল করতে সক্ষম হবে।

  1.    Take Responsibility:

সর্বোপরি, প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ কাজের প্রতি Responsible। অর্থাৎ কেউ একটি ভাল কাজ করুক বা খারাপ কাজ করুক, তার দায়ভার অবশ্যই তাকেই নিতে হবে। তাই, নিজের কাজের প্রতি সৎ থাকা, নিজেকে ও নিজের কাজকে সঠিক ভাবে Self Evaluate করা ও কোম্পানীর প্রতি Dedicate থাকা প্রতিটি Employeeদের জীবনের গুরুত্বপুর্ণ একটি অংশ। কাজের Responsibility গ্রহণ করা একজন যোগ্য Leader এর অন্যতম সেরা একটি Professionalism। অনেকেই আছে কাজের সফলতার পূর্ণ ভাগ নিতে চায় কিন্তু ব্যর্থতার দায়ভার চাপাতে চায় অন্যের ঘাড়ে। এমন মানুষ জীবনে কখনো সফল হতে পারে না। উদাহরণ হিসেবে বলতে গেলে বলা যায় যেমন একজন ফুটবল কোচ তার দল হারলে পুরো দোষ নিজের উপর নিয়ে নেয় এবং পদত্যাগের মত সিদ্ধান্তও নেয়। এমন সাহসীকতা মানুষকে কখনো ছোট করে না বরং অন্যের সামনে তাকে সম্মানের পদে বসিয়ে দেয়। তেমনি প্রায় সব কোম্পানীতেই কাজ করতে করতে অনেকেই আছে যাদেরকে বসের বকুনী, কটুক্তি শুনতে হয় এমনকি Show Cause এর মত বিষয়ের মধ্যে দিয়েও যেতে হয়। কিন্তু তারা প্রকৃত সফল যারা এই বিষয়গুলোতে হতাশ না হয়ে এগুলোকে Positive ভাবে নিয়ে নিজেকে আরো Develop করে কোম্পানীর নিকট আরো অধিক যোগ্য ও কর্মঠ হিসেবে আবির্ভুত হয়। আর এ ধরণের Positive Employee দের পক্ষেই সম্ভব হয় কোম্পানীর প্রতি সর্বোচ্চ Value Addition বা Revenue Generate করা। 

  1.      Problem-Solving Mentality:

Employeeদের অবশ্যই Problem Solving মনমানসিকতা থাকতে হবে। একটি প্রতিষ্ঠানে যে কোন ধরণের পরিস্থিতির আবির্ভাব হতে পারে। সেগুলো সামাল দিতে মাঝে মাঝে যে কোন ধরণের Emergency Decision বা Measure নেবার প্রয়োজন পড়তে পারে। একজন যোগ্য Leader বা Employee এর দ্বায়িত্ব হচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে অন্যের উপর ভরসা করে বসে না থেকে, নিজেই সেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে যাওয়া। অনেকেই আছে যারা সর্বদা শুধু অভিযোগ করে যায়, কিন্তু সমস্যা সমাধানে কেউ এগিয়ে আসে না। এই সময়টিতে একজন যোগ্য Leader এর পক্ষে সম্ভব গোটা পরিস্থিতি নিজের আয়ত্বে নিয়ে এসে ঐ সমস্যাটি সমাধানের মাধ্যমে নিজেকে কোম্পানীর নিকট একজন Hero হিসেবে উপস্থাপন করা। এই সুযোগটি যারা কাজে লাগাতে পারে, তাদের সফলতার দরজা খুব সহজেই খুলে যায়।

  1.         Job Delegation:

একজন সফল Leader এর একটি গুণ হচ্ছে Job Delegate করা। একজন Leaderকে জানতে হবে যে তার Subordinate রা কে কোন কাজে দক্ষ। অতঃপর তাদেরকে তাদের জ্ঞান, দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দিতে হবে। কাউকে এমন কোন কাজ Delegate করা যাবে না যা তার সাধ্যের বাহিরে। অর্থাৎ মাছকে কখনো গাছে উঠার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে যেমন মূল্যায়ন করা ঠিক না, তেমনি প্রতিটি Employee যে যার কাজে দক্ষ, তাকে সেই সব কাজই প্রদান করতে হবে এবং সঠিক ভাবে Guide করে তাদের কাছ থেকে সময় মত কাজ গুলো সম্পন্ন করে নিতে হবে। 

  1.     Outsourcing:

একটি কোম্পানীতে সব কাজ যে সবার দ্বারা সম্পন্ন হবে তা কিন্তু নয়। অর্থাৎ সব কাজ যে শুধু কোম্পানীর Employeeদেরকে দিয়ে করিয়ে নিতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই। মাঝে মাঝে সময়ের আগে কাজটি শেষ করার জন্য, অধিক Perfection এর জন্য কিংবা অন্যান্য Emergrenacy কারণে বাহির থেকে Outsource করা যেতে পারে। বাহিরেও অনেক দক্ষ মানুষ রয়েছে যারা তাকার বিনিময়ে অনেক সুন্দর ভাবে কাজ সম্পন্ন করে দিতে সক্ষম। এই সকল Freelancer দেরকে খুজে বের করে, দরকারে তাদেরকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়াও একজন যোগ্য Leader বা Employee এর গুণ। 

  1.  Perform Job with or without Team:

Teamwork একটি কোম্পানীকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য অনেক বড় একটি প্রক্রিয়া। Teamwork ছাড়া কখনই কোন কোম্পানী গঠন ও সফল হতে পারে না। কেউ কখনো একা একা কোম্পানী চালাতে পারে না। তাকে অবশ্যই অন্য সকল দক্ষ কর্মীদেরকে নিয়ে কাজ সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হয়। আর এটিই হচ্ছে একটি কোম্পানীর শক্তি। তবে, কোম্পানীর সকল কাজই যে Teamwork এর মাধ্যমে করতে হবে তা কিন্তু নয়। অনেক কাজ আছে যা Teamwork এর থেকে একা করলে অনেক দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে উক্ত ERmployeeকে নিজেই দ্বায়িত্ব নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। অন্যের আশায় বসে থাকা যাবে না। আর কোন কাজটি এভাবে Teamwork ছাড়াই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে, সেটি খুজে বের করাও একজন দক্ষ Employee এর বৈশিষ্ট্য।

  1. Attendance & Reporting:

একটি কোম্পানীর সকল Employee, সে নিম্ন স্তরে থাকুক বা উচ্চ স্তরে, সকলের জন্য Attendance ও Reporting অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বাধ্যতামূলক একটি System। একজন Employee দ্বায়িত্বশীলতা সাথে সময় মত অফিসে এসে তার দৈনন্দিন কাজ গুলো সম্পন্ন করছে কিনা তা মুল্যায়ন করার জন্য Attendance থাকাটি জরুরী। পাশাপাশি, উক্ত Employee মাস শেষে তার সারা মাসের কাজের একটি Report কোম্পানীর  HR/Management এর নিকট পেশ করবে। বছর শেষে এই Report গুলো Analysis এর মাধ্যমেই প্রমাণ হবে যে উক্ত Employee আসলে Proimotion ও Increment এর যোগ্য কিনা। তবে, উল্লেখ্য যে কিছু কিছু Employee আছে যারা সরাসরি কোম্পানীর Revenue তে বিশাল Contribution করে থাকে। তাদের দৈনন্দিন কাজ গুলো সরাসরি Revenue Generate এর সাথে সম্পর্কিত থাকে বা তারা সর্বদা তাদের Target এর থেকেও অতিরিক্ত Revenue কোম্পানীকে প্রদান করে থাকে। সেই সকল Employee দের জন্য Attendance ও Reporting তাদের কাজের Variation অনুযায়ী বাধ্যতামূলক নয়। বরং শিথিলযোগ্য।

  1. Technology Adoption & Enhance Performance:

বর্তমান যুগটি হচ্ছে Technology এর। প্রতিদিনই নিত্য নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন ও কাজ কর্মকে আরো সহজ করে তোলার জন্য। সেই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো সব নিয়ম কানুন ও System. প্রতিযোগীতার এই যুগে সেই সকল কোম্পানীই বিশ্ববাজারে সফল্ভাবে টিকে থাকতে সক্ষম হচ্ছে তাদের Employeeরা সকল প্রকার Technologyতে Update ও Upgrade। তাই Employeeদেরকে তাদের Self Development ও তাদের Performance বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুগোপযোগী Trend অনুযায়ী সকল প্রকার প্রযুক্তির সাথে নিজেদেরকে Adapt করে নিতে হবে। যে পারবে না, তার অবস্থান অচিরেই হারিয়ে যাবে কোম্পানী থেকে কারণ কোম্পানী এমন কাউকে কখনোই রাখতে চাইবে না যে প্রযুক্তিতে পিছিয়ে। 

Conclusion:

সব মিলিয়ে মানুষের কর্ম ছোট বড় যেমনই হোক, সেটি যদি সততা ও নিষ্ঠার সাথে করে যাওয়া যায় তবে যে কারো পক্ষে সম্ভব নিজের ও নিজের ভাগ্যকে পরিবর্তন করা। এ জন্য কোন খারাপ পরিস্থিতিতে শুধু মাত্র নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ না করে সেই পরিস্থিতিকে বদলানোর জন্য করতে হবে কঠোর পরিশ্রম। শুধু পরিশ্রম করলেই হবে না, তার সেই পরিশ্রমটিকে কার্যকর করার জন্যও Accountability এর সাথে সর্বাধিক চেষ্টা করতে হবে। মোটকথা, সকলে যদি তাদের নিজ নিজ কাজকে ইবাদত ও আরাধনার মত করে পালন করে ও তার কোম্পানীর নিকট Accountable থাকে, তবেই এক মাত্র সম্ভব কর্মক্ষেত্র থেকে সকল প্রকার অসততা ও অসৎ পন্থাকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া। আর আমাদের উচিত এই লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যেই নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *