Importance of Note Taking & Delegation

Importance of Note Taking & Delegation

 

আমাদের ক্যারিয়ারের সফলতা নির্ভর করে খুব ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপের উপর। ছোট কাজ গুলোর সমন্বয়েই বড় জিনিষ গুলো আমরা অর্জন করি। সেরকম একটি ছোট কিন্তু খুবই উপকারি কাজ হল – “নোট টেকিং”। Forgetting Curve নামের গবেষণায় দেখা গেছে আমরা ১ ঘণ্টায় নতুন শিক্ষা গুলো গড়ে ৫০ ভাগ ভুলে যাই, আর ২৪ ঘণ্টা পরে ৭০ ভাগই ভুলে যাই। তার মানে, আমরা আমাদের কাজ গুলোও করতে ভুলে যাই যা আমাদের ক্যারিয়াররের জন্য খুবই বিপজ্জনক। আমাদের প্রতিটি কাজ লিখে রাখা উচিৎ, সেটি কাগজে হউক কিংবা কোন অ্যাপে। আমাদের সবার সাথে কলম এবং ডাইয়ারই/নোটবুক রাখার অভ্যাস গড়ে তুলা উচিৎ। আর যদি কাগজ কলম সবসময় সাথে না রাখা যায় তাহলে, “To Do List” কিংবা “Google Keep” নামের ২ টি স্মার্টফোন অ্যাপ আছে যেখানে আমরা আমাদের To Do List লিখে রাখতে পারি। সময় মতো রিমাইন্ডার দিয়ে দিতে পারি। প্রযুক্তি আমাদের কাজ কে এতো সহজ করে দিয়েছে তবুও কেন আমরা সেটা ব্যাবহার করি না?

সফলতা কখনও একক ভাবে আসে না। আমাদের সবারই কোন না কোন সময় সাহায্য লাগে। কিছু কাজ আছে যা আমরা চাইলেই অন্যকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারি। এতে করে আমাদের সফলতা কোন অংশেই কমে যাবে না বরং যে কাজটি করছিলাম সেটি আরও ভালো ভাবে সম্পন্ন হবে। প্রতিটি মানুষের ভিন্ন ভিন্ন টেলেন্ট থাকে, সেগুলো খুঁজে বের করে তাদেরকে সেধরনের কাজ গুলো দেওয়া উচিৎ। প্রতিটি লিডারের দায়িত্ব তার টীম মেম্বারদের ডেভেলপ করা। কাজ ডেলিগেট করলে টীম মেম্বারদের কাজের মান ভালো হতে থাকে। একজন লিডার একা সব কিছু করতে পারে না, সময়মত কাজটি সফল ভাবে সম্পন্ন করতে হলে সেটি অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নেওয়াটাই উত্তম। এখানে একটা ভুল ধারনা অনেকের মধ্যে কাজ করে যে, আমার কাজ অন্য কাউকে দিয়ে দিলে সেই কাজের ক্রেডিট তার হবে কিংবা আমার প্রমোশন বা অন্য বেনিফিট সে নিয়ে যাবে। আমরা হয়তো ভুলে যাই যে কাজটা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে যে করেছে তার ভালো হবে পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানেরও ভালো হবে। কিন্তু যদি আমি কাজটা সময়মত শেষ না করতে পারি তাহলে ক্ষতিটা আমার হবে সাথে আমার প্রতিষ্ঠানেরও হবে।

তাই বৃহৎ স্বার্থে আমাদের সবারই কাজগুলো Delegate করা উচিৎ।

Delegate করার সময় কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা উচিৎ- যেমন, আমরা যাকে কাজটি দেব সে সময় মতো কাজটি শেষ করতে পারবে কিনা, না পারলে সেটি দ্বিতীয়বার করার মতো সময় আছে কিনা এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কাজের ধরন অনুযায়ী যে ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে সে কাজটি কতটা মান বজায় রেখে করতে পারবে এই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। যে কাজটি করছে তার কোন ধরনের সাহায্যের দরকার পরলে করতে হবে। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ফলো-আপ করা। লম্বা প্রজেক্ট হলে সপ্তাহে অন্তত একদিন মিটিংএর মাধমে কাজে অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া উচিৎ। এছাড়াও Collaboration Technology এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজর রাখতে হবে।

ফলো আপ এবং কাজের ট্র্যাক রাখার প্রথম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হল গুগল ক্যলেন্ডার। এর মাধ্যমে প্রতিটি কাজের সময় এবং তারিখ ঠিক করে রাখা যায় এবং রিমাইন্ডার দিয়ে রাখা যায়।

দ্বিতীয়ত, আমরা একটি নোটবুকে কাজগুলোর বিস্তারিত লিখে রাখতে পারি। এবং প্রতিদিন সেটি রিভিউ করলেই সব গুলো কাজের ট্র্যাক রাখা সহজ হয়ে যায়।

একজন লিডারের কাজ হয় প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া। ছোট কাজগুলো নিজে করলে বড় যে কাজ গুলো অন্য কেউ করতে পারবে না সেগুলো থেকে থাকবে। তাই একটু কঠিন হলেও লিডারদের সবসময় তুলনামূলক ছোট কাজ গুলো টিম মেম্বারদের দিয়ে দেওয়া উচিৎ যেন আপনি ফোকাস করতে পারেন প্রতিষ্ঠানের ডেভেলপমেন্টের দিকে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *