Significance of Hostel Life in the Art of Living

Significance of Hostel Life in the Art of Living

প্রতিটি ছেলে বা মেয়ের শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে হোস্টেল লাইফ। এ দেশের অধিকাংশ ছেলে মেয়েকেই এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বিশেষ করে যারা HSC এর পর বিভিন্ন শহরের নাম করা সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য চেষ্টা করতে থাকে, তাদেরকে। সেই সকল ছেলে মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করতে হয় নিজেদের বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারকে ছেড়ে কোন এক দূর শহরে থেকে। কোন ছেলে-মেয়েই সারা জীবন বাবা-মায়ের সাথে থাকতে পারে না। তাকে কোন না কোন সময় পরিবারকে ছেড়ে থাকতে হয়ই। আর তখনই শুরু হয় তাদের হোস্টেল বা মেস জীবন এবং সে পরিচিত হয় সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞতার।

Side Effects of Mess Life

অনেকেই হোস্টেল লাইফের সাথে মেস লাইফকে মিশিয়ে ফেলেন। কিন্তু এই দুটি একে অপরের থেকে পুরোপুরি আলাদা। আমরা যদি হোস্টেল ও মেসের জীবনযাপন সম্পর্কে একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করি তবে আমরা খুব সহজেই এ ব্যাপারে একমত হতে পারবো। মেসের জীবনটি মূলত একটি অগোছালো জীবন। এখানে একটি মাত্র রুমে অনেক গুলো ছেলেকে এক সাথে তাদের জিনিসপত্র নিয়ে থাকতে হয়। যার ফলে অনেক সময় মেসের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে না। একটি রুমে নানান মতের ও মনের নানান রকম ছেলে এক সাথে থাকায় সেখানে কোন শৃংখলাও বজায় রাখাও কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে সেখানে যদি কারো কোন ধরণের বাজে অভ্যাস থেকে থাকে তবে সেটি সকলের মধ্যে ছড়ানোরও একটি প্রবনতা থেকে যায়। মেসের রুমমেটরা যদি ভাল না হয় তবে সেই মেসে মন দিয়ে পড়াশনা করার মত পরিবেশও কখনো তৈরী হয় না। মেসে খাওয়া দাওয়ার মানও খুব একটা ভাল থাকে না যার কারণে প্রথম প্রথম মেসে উঠেই অনেকে নানান রকম পেটের সমস্যায় ভুগে থাকে। সব মিলিয়ে সময় মত সকালে ঘুম থেকে ওঠা, খাওয়া দাওয়া করা, পড়াশোনা করা, বাহিরে থেকে সময়মত ঘরে ফেরা, রাতে সময়মত ঘুমানো সব কিছু মেনে চলতে একটি ছেলে বা মেয়ের জন্য মেস লাইফ মোটেই উপযুক্ত নয়।    

Hostel Life – Disciplined & Organized

অন্যদিকে হোস্টেল লাইফ এর সম্পুর্ণ ব্যতিক্রম। হোস্টেল মানেই হচ্ছে শৃংখলায় আবদ্ধ একটি জীবন যার স্বাদ কোন ছেলে মেয়ে তার বাবা মায়ের সাথে থেকেও পায় না। মেসে মূলত সব কিছু ছেলে-মেয়ে নিজেরাই তদারকি করে যার কারণে তারা যা খুশি করার জন্য পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা পায় কিন্তু হোস্টেলে সব কিছু দেখা শোনা করার জন্য একটি ম্যানেজমেন্ট আছে যার অধিনে ছেলে-মেয়েদের বসবাস করতে হয়। আর এই কারণেই কোন ছেলে-মেয়ে কখনোই তাদের বাড়ির মত কিংবা মেসের মত যা মন চায় তা করার স্বাধীনতা পায় না। হোস্টেলে সব কিছু শৃংখলা ও সময় অনুযায়ী হয়। সময় মত ঘুম থেকে ওঠা, ৩ বেলা খাওয়া, পড়াশোনা, বাহিরে থেকে সময় মত ফেরা ও রাতে ঘুমানো এই সব কিছু একেবারে নিয়ম অনুযায়ী হয়। এ ছাড়াও হোস্টেলের পরিবেশ যথেষ্ট পরিমাণে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন থাকে পাশাপাশি খাবারের মানও হয় বেশ ভাল। 

Hostel Life – Healthy Environment

একটি ছেলে বা মেয়ে জীবনে প্রথম পরিবার থেকে দূর শহরে এসে যদি শৃংখলাবিহীন মেস লাইফে প্রবেশ করে তবে খারাপ সংস্পর্শ ও পরিবেশের কারণে তার বিপথে যাওয়া ও নানান রকম বাজে অভ্যাসে জড়ানোর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়ে যায়। অথচ সে যদি হোস্টেলের শৃংখলাপূর্ণ জীবনে প্রবেশ করে তবে সে নিয়ম কানুনের মধ্যে বাস করে সকল প্রকার খারাপ প্রভাব থেকে নিজেকে দূরে রেখে তার নিজের জীবনকে আরো সুন্দর করে গড়ে তোলার প্রেরণা লাভ করে। পাশাপাশি সে নিজের কাজ গুলো নিজে করতে শেখে। আগে যে কাজ গুলো বাড়িতে তার বাবা-মা করে দিত, এখানে সেগুলো তার নিজের হাতে করতে হয় যার ফলে সে স্বাবলম্বী হপ্তে শেখে ও তার মধ্যে দ্বায়িত্ববোধ তৈরী হয়। 

Hostel Life – Increases The Family Values

হোস্টেল লাইফ একটি ছেলে-মেয়েকে বোঝায় পরিবারের গুরুত্ব সম্পর্কে। ছোটবেলা থেকে পরিবারের আরাম আয়েশের মধ্যে দিয়ে বড় হওয়া কোন ছেলে বা মেয়ে যখন প্রথম পরিবার ছেড়ে হোস্টেলের কঠিন নিয়মের জীবনে প্রবেশ করে তখন তারা উপলব্ধি করতে পারে তাদের জীবনে তাদের বাবা-মায়ের গুরুত্ব কতখানি ছিল। বাবা-মায়ের প্রতি তাদের ভালবাসা ও মমত্ববোধ বৃদ্ধি পায় যা তাদের মনে Family Values তৈরী করে। যার ফলে স্থানভেদে তারা পরিবার থেকে দূরে চলে গেলেও আত্মীক ও মানসিক ভাবে তারা পরিবারের আরো কাছাকাছি চলে আসে। জীবনটা প্রতিটি ছেলে-মেয়ের জন্যই একটি কঠিন বাস্তবতায় ঘেরা একটি জার্নি আর এই জার্নির প্রথম ধাপটিই হচ্ছে হোস্টেল লাইফ যেখানে তারা জীবনে প্রথম বাস্তবতার মুখোমুখি হয়। যারা এই ধাপটি সফল ভাবে অতিক্রম করতে পারে, ভবিষ্যতে তাদেরকে চলার পথে কোন বাধাই আর দমিয়ে রাখতে পারে না। কারণ হোস্টেল লাইফ একটি ছেলে বা মেয়েকে শৃংখলা শেখায়, নিয়ম মানতে শেখায়, অগোছালো জীবনকে গোছাতে শেখায়, আরামের জীবন ত্যাগ করে পরিশ্রম করতে শেখায়, সব কাজ সময় মত করতে শেখায়, জীবনের একটি লক্ষ্য স্থির করতে শেখায় এবং সর্বোপরি সেই লক্ষ্যটিকে অর্জন করতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শেখায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *