Art of Living for Every part of a University

Art of Living for Every part of a University

ভূমিকা

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে সমাজের মধ্যে সকলের সাথে মিলেমিশে এক সাথে বসবাস করতে হয়। আর এ জন্য মানুষকে তার কথা-বার্তা, চলা-ফেরা, আদব-কায়দা, আচার-আচরণ, নীতি-নৈতিকতা ইত্যাদী বিষয় সমূহের ব্যাপারে নিজেকে উন্নতরূপে গড়ে তুলতে হয় যেন সে তার গুণাবলী দ্বারা সমাজ ও পরিবারের উন্নতি সাধন করতে পারে। আর এসকল বিষয় গুলি শেখার একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে আর্ট অফ লিভিং। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আর্ট অফ লিভিং বিষয়টি Academic Course এর অন্তর্ভুক্ত করে শুরু করেছে যেন এই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায়। কিন্তু আর্ট অফ লিভিং এমনই একটি বিষয় যা শুধু মাত্র শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এই বিষয়টির পরিসীমা অনেক সম্প্রসারিত যার কারণে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের Management অর্থাৎ স্টাফ থেকে শুরু করে অ্যাডমিন অফিসার এবং সকল Faculty এর শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলেরই উচিত এই বিষয়টি থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের গড়ে তোলা।

অ্যাডমিন ও ফ্যাকাল্টি

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রাণ যদি হয় শিক্ষার্থীরা তবে এর জ্বালানী শক্তি হচ্ছে অ্যাডমিন ও Faculty। অ্যাডমিনদের সঠিক ও দক্ষ নীতিমালা, পরিচালনা ও কার্যক্রমের মাধ্যমেই একটি বিশ্ববিদ্যালয় সামনে এগিয়ে যায় এবং শিক্ষকদের দক্ষ পরিচালনা ও পথনির্দেশনায় একটি জাতি গড়ে ওঠে ও এগিয়ে যায় সম্মৃদ্ধির পথে। আর এ জন্য তাদেরকে উভয়কেই সর্ব প্রথম যে বিষয়টি নিজেদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে, সেটি হলো সুন্দর ব্যবহার। আমরা সকলেই জানি, একমাত্র সুন্দর ব্যবহার দ্বারাই সুন্দর ব্যবহার পাওয়া সম্ভব। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আসে শেখার জন্য। এই শিক্ষাটি কিন্তু শুধু মাত্র Academic শিক্ষা নয় যা তারা তাদের সিলেবাসে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের Management ও Faculty থেকেও তাদের শেখার অনেক কিছু আছে যা তারা তাদের Professional ও Personal Life এ কাজে লাগাতে পারে। 

অ্যাডমিশন/কাউন্সিলিং সার্ভিস

একটি ছেলে বা মেয়ে যখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ভর্তি হতে আসে তখন সে সর্ব প্রথম যে Management এর মুখোমুখি হয় তার নাম Admission বা Counselling Department। অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থীর বা একজন অভিভাবকের First Impression শুরু হয় অ্যাডমিনদেরকে দিয়ে আর আমরা জানি, First impression is the best impression। Admission এর সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনেক শিক্ষার্থীই বুঝতে পারে না যে তার জন্য সঠিক Career Plan কোনটি। সেই শিক্ষার্থীকে সময় নিয়ে ধৈর্য্য ধারণ করে ইউনিভার্সিটির সকল Department এর সুযোগ সুবিধা ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কে বোঝাতে হবে। পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থী আছে যাদের আচার-আচরণ খুব একটা শোভনীয় থাকে না। তারা নানান রকম অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে থাকে।  এ ক্ষেত্রে তাদের সাথে পাল্টা খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। তাদেরকে হাসি মুখে কথা বলে বিদায় করতে হবে। সেই সাথে একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হবার পর ক্লাস করতে গিয়ে যদি সে দেখে যে সে তার Course  এর সাথে মানিয়ে নিতে পারছে না তখন শিক্ষককেই এগিয়ে আসতে হবে সেই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য। একজন শিক্ষার্থীর সব থেকে কাছাকাছি যাবার সুযোগ হয় একমাত্র শিক্ষকের তাই একমাত্র সেই বুঝতে পারে যে একটি ছেলে বা মেয়ের যোগ্যতা ও ধারণক্ষমতা অনুযায়ী তার Career এর জন্য কোন বিষয়টি ভাল হবে। 

ড্রেস-কোড

একজন অ্যাডমিন ও শিক্ষকের পোশাক হবে সকলের থেকে অত্যান্ত গোছানো ও মার্জিত। তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক Official পোশাক অথবা তাদের নিজেদের মত করে মার্জিত পোশাক পরে প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে যেন তাদেরকে আলাদা ভাবে অ্যাডমিন ও শিক্ষক হিসেবে চেনা যায়। তাদের শার্ট, প্যান্ট এবং জুতা হতে হবে অত্যান্ত শালীন ও শোভনীয় এবং তাদেরকে অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিক আইডি কার্ড পরিধান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ছেলে-মেয়ে আছে যাদের পোশাক-আষাকের মাঝে শালীনতা ও পরিপাটির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এ সকল শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে তাদেরকে সুন্দর করে বোঝানোর দ্বায়িত্বও একজন অ্যাডমিন ও শিক্ষকের যার কারনে আগে তাদের নিজেদেরকেই শালীনতা বজায় রাখতে হবে যেন তাদেরকে দেখে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রানীত হয়।

ডিপার্টমেন্টাল সার্ভিস

প্রতিটি Department এ একজন Coordination Officer আছে যার কাজ ঐ Department এর সকল Subject, Teacher, Student’s Information, Result, Routine ইত্যাদী যাবতীয় বিষয় গুলি দেখাশোনা করা। Department এর কোন তথ্য জানতে শিক্ষার্থীরা একমাত্র Coordination Officer এর প্রতিই নির্ভরশীল এবং তার কাছেই যায় বিভিন্ন তথ্য ও সাহায্যের জন্য। পাশাপাশি কিছু কিছু শিক্ষার্থী আছে যাদের আচার-আচরণ ঐ সকল অফিসারদের প্রতি ভাল থাকে না। তাকে অকারনে বিরক্ত করা, নানান রকম অপ্রাঙ্গিক প্রশ্ন করা, ঠিক ভাবে সম্মান দিয়ে সম্মোধন না করা ইত্যাদী অভ্যাস অনেক শিক্ষার্থীদের মাঝেই আছে কিন্তু একজন Coordination Officerকে সর্বদা হাসিমুখে এসকল পরিস্থিতি Deal করতে হবে পাশাপাশি অন্যান্য সকল শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্যগুলি সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে কারণ যদি ঐ অফিসার কোন শিক্ষার্থীকে তার প্রয়োজনীয় সাহায্যটি না করে বা সুন্দর ব্যবহার না করে তবে ঐ Department এর প্রতি ঐ শিক্ষার্থীর একটি খারাপ ধারণা সৃষ্টি হবে। একই ভাবে শিক্ষকদেরও দ্বায়িত্ব তাদের শিক্ষার্থীদের সাধ্যমত প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা এবং সেই সাথে যে সকল শিক্ষার্থীরা Coordination Officerদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাদেরকে সঠিক ভাবে Counsel করে বোঝানো। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থীই আছে যাদের Department এর রুটিন ও সিলেবাসের সাথে মানিয়ে চলা কঠিন হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের উচিত সেই সকল শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদেরকে অভ্যস্থ হতে সাহায্য করা।

রেজিস্টার অফিস

Registrar Office একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের তথ্যের Archive। নতুন, পুরাতন সকল শিক্ষার্থীদের সব ধরনের তথ্য ও Document এখানে পাওয়া যায় তাই শিক্ষার্থীদেরকে প্রায়ই নানান রকম সমস্যা সমাধানে এই অফিসের দ্বারস্থ হতে হয়। এই অফিসের দ্বায়িত্বে যিনি থাকেন তাকে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের সাথে সুন্দর ব্যবহার দ্বারা তাদের সকল সমস্যার সমাধান দিতে হবে। অনেক শিক্ষার্থীরা আছে যারা তাদের Course, Waiver ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে ঠিক মত অবগত নয় ও যার কারনে তারা তথ্যের জন্য এই অফিসে আসে। এই অফিস থেকে যদি শিক্ষার্থীরা খারাপ আচরণের সম্মুক্ষীণ হয় ও তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগীতা না পায় তবে তারা তাদের Course সম্পন্ন করতে নানান সমস্যার সম্মুক্ষীণ হবে ও এর ফলে শিক্ষার্থীদের মনেও অসন্তোষের সৃষ্টি হবে। সুতরাং এই অফিসের অফিসারদের নৈতিক দ্বায়িত্ব শিক্ষার্থীদের প্রতি যথেষ্ট সহযোগীতামূলক আচরণ করা।

লাইব্রেরী সুবিধা

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে Library। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের Library যতটা সম্মৃদ্ধ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা Academic পড়াশোনায় ততটাই লাভবান হয় কারণ শিক্ষার্থীরা নিয়মিত Libraryতে যায় পড়াশোনা ও Group Study করতে। তাই একজন Library অফিসারের দ্বায়িত্ব লাইব্রেরীর সকল বই সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য রাখা ও শিক্ষার্থীদের সেগুলো ঠিক ভাবে সরবরাহ করা। Library তে নিরবতা ও শৃংখলা বজায় রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব। অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা এই শৃংখলা বজায় রাখে না, Library তে এসে আড্ডা দেয়, গল্প করে যা কিনা অন্যান্যদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটায়। এ সকল শিক্ষার্থীদেরকে ঠিক মত বোঝাতে হবে যেন তারা অন্যদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি না করে। পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা Library থেকে বই নিয়ে যায় কিন্তু সময় মত ফেরত দেয় না। এই ডাটাবেজটাও ঠিক মত Maintain করতে হবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ Library তে যাওয়া ও পড়াশোনার প্রতি সব সময়ই উদাসীন। এ ব্যাপারে শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে Library এর গুরুত্ব সম্পর্কে এবং বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে যেন শিক্ষার্থীরা নিয়মিত Library তে যেতে উৎসাহিত হয়। 

অ্যাকাউন্টস সার্ভিস

শিক্ষার্থীরা যখন তাদের Semister ফি জমা দিতে বা এই বিষয়ক কোন তথ্য জানতে ও সাহায্য পেতে Accounts Section এ যায় তখন Accounts অফিসারদের দ্বায়িত্ব হচ্ছে এ ব্যাপারে তাদেরকে সব ধরণের সাহায্য করা। Accounts হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও Sensitive একটি অংশ যার কারণে এখানকার অফিসারদের অত্যান্ত সাবধানতার সাথে সব কিছু সামলাতে হয়। পাশাপাশি এখানে শিক্ষার্থীদের বিচরণও থাকে সব থেকে বেশী হবার কারণে অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা ঠিক মত লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দেয় না বা সঠিক ভাবে শৃংখলা বজায় রাখে না। এ সকল ক্ষেত্রে Accounts অফিসারদের অত্যান্ত ধৈর্য্যের সাথে শিক্ষার্থীদের ভাল ব্যবহারের মাধ্যমে তাদেরকে শৃংখলা বজায় রাখার জন্য বোঝাতে হবে, নিজে থেকে মাঝে মাঝে লাইন ঠিক করে দিতে হবে যেন তারা কোন ধরণের বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে না পারে। সব মিলিয়ে যত যাই হোক না কেন, শিক্ষার্থীদের সাথে কোন ধরণের খারাপ ব্যবহার ও অপেশাদার আচরণ কখনোই এই Department এর অফিসারদের কাছ থেকে কাম্য নয় কারণ যেহেতু সারা বছর এখানেই শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়া সব থেকে বেশী হয় তাই এখানকার কোন অব্যবস্থাপনা খুব দ্রুতই শিক্ষার্থীদের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

এক্সাম কনট্রল অফিস

একটি বিশ্বাবিদ্যালয়ে ৪/৫ বছর পড়াশোনা করার পর যখন একটি শিক্ষার্থী তার Certificate ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সংগ্রহের জন্য Exam Control অফিসে যায় তখন সে অবশ্যই সেখান থেকে সন্তোষজনক ব্যবহার ও সহযোগিতা আশা করে। Accounts Section এর মত এখানেও শিক্ষার্থীদের মোটামুটি একটা ভিড় থাকে যার কারণে এখানে শিক্ষার্থীদের শৃংখলা বজায় রাখা ও ঠিক মত লাইনে দাঁড়ানো যেমন শিক্ষার্থীদের দ্বায়িত্ব তেমনি তাদেরকে এ ব্যাপারে সাহায্য করা সেখানকার অফিসারদেরও কর্তব্য। পাশাপাশি একজন Exam Control অফিসারের সব থেকে বড় দ্বায়িত্ব হচ্ছে অত্যান্ত নিষ্ঠার সাথে সকল অ্যালামনাইদের সব রকমের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা, তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করা এবং অবশ্যই তাদেরকে কোন ধরণের হয়রানির মধ্যে না ফেলা কারণ অ্যালামনাইরাই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব থেকে বড় সম্পদ। 

স্টাফ ও দারোয়ান

এভাবে আরো অন্যান্য যে সকল Section আছে এবং সেখানকার যে সকল অফিসাররা সব সময় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় নিয়জিত, তাদেরকে তাদের কাজ ও ব্যবহারের প্রতি পূর্ণ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যেন শিক্ষার্থীরা কোন ভাবেই কোন ধরণের সেবা হতে অবহেলিত না হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল স্টাফ, পিয়ন, দারোয়ান আছে তারাও কিন্তু অ্যাডমিনেরই একটি অংশ এবং তাদেরকেও অবশ্যই আর্ট অফ লিভিং জানতে হবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান ধরণের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে এবং তাদের একেক জনের মনোভাব ও আচার-আচরণ একেক রকম। অনেক শিক্ষার্থীই আছে যারা অফিসের স্টাফ, পিয়ন, দারোয়ানদের সাথে ভাল ব্যবহার করে না, ঠিক মত সম্মোধন করে না, বয়স্কদের সম্মান দিয়ে কথা বলে না। এসকল শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ব্যবহার না করে বরং তাদেরকে ডেকে বোঝাতে হবে। তাদের প্রতি সহযোগিতামূলক আচরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে সবার আগে। শিক্ষকদের উচিত এ সকল নেগেটিভ চিন্তা-ধারার শিক্ষার্থীদেরকে Counsel করে তাদেরকে সঠিক Guideline দেয়া। ইউনিভার্সিটির স্টাফ, পিয়ন ও দারোয়ানদের কোন ভাবেই এসকল শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করা যাবে না। কারণ কিছু শিক্ষার্থীই থাকে যাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে যে কোন ভাবে বিশৃংখলা সৃষ্টি করা। তাদেরকে কোন ভাবেই এই সুযোগ দেয়া যাবে না। পাশাপাশি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের First Impression সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দারোয়ানের উপরও নির্ভরশীল। কোন শিক্ষার্থী বা কোন অভিভাবক যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সময়ই দারোয়ানের কোন আচরণ দ্বারা অসন্তুষ্ট হয় তাহলে সে কখনই চাইবে না সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বা সেই অভিভাবক চাইবে না তার সন্তানকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করতে। দারোয়ানদের অবশ্যই আশা যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের সাথে ভাল ব্যবহার বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি Department এর স্টাফদেরকেও শিক্ষার্থীদের প্রতি বন্ধুসুলভ হতে হবে। শিক্ষার্থীরা যদি স্টাফদের কাছ থেকে খারাপ ব্যবহার পায় তবে সেটি ঐ Department এর জন্য কখনই ভাল ফলাফল বয়ে আনবে না। একই সাথে শিক্ষকদেরকেও হতে হবে তার ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট বন্ধুর মত। একজন শিক্ষার্থীকে শুধু মাত্র Academic পড়াশোনা শেখানোই একজন শিক্ষকের দ্বায়িত্ব নয় বরং সেই শিক্ষার্থীর সকল প্রকার মানসিক বিকাশ ঘটানো, সামাজিক সমস্যার সমাধান করা এবং সেই শিক্ষার্থীর অভ্যন্তরীণ সুপ্ত প্রতিভাকে চিহ্নিত করে সেটিকে বাহিরে বের করে এনে তাকে তার সঠিক ক্যারিয়ার জীবন গঠণের দিক নির্দেশনা দেয়া এ সব কিছুই তার দ্বায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান হয় যেখানে শিক্ষার্থীদের অংগ্রহণ করতে হয়। সেই সকল অনুষ্ঠান ঠিক মত পরিচালনা ও দেখাশোনা করার জন্য অ্যাডমিনদেরকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। এ ধরণের অবস্থায় অ্যাডমিনদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যেন কোন শিক্ষার্থী সেখানে কোন ভাবে অবহেলিত বা হয়রানির স্বীকার না হয়। শিক্ষার্থীদের যাতাযাত ব্যবস্থা, বসার ব্যবস্থা, শৃংখলা বজায় রাখা, সঠিক ভাবে খাবার পরিবেশন করা ইত্যাদী সব কিছুতে গোটা অ্যাডমিনদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে এবং কোথাও কোন অব্যবস্থাপনা চোখে পড়লেই দক্ষতার সাথে সাথে সাথে তার সমাধান করতে হবে যেন শিক্ষার্থীরা কোন ভাবে কোন অসুবিধার সম্মুক্ষীন না হয়। অ্যাডমিনদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে কোন একতি বিশাল অনুষ্ঠান হওয়া মানেই সেখানে কিছু না কিছু অব্যবস্থাপনা হতেই পারে আর তখনই কিছু শিক্ষার্থী আছে যারা এ সকল অব্যবস্থাপনার সুযোগ নিয়ে একটি অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে। মাঝে মাঝে কোন একটি বড় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃংখলা বজায় রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়ে যার কারণে দেখা যায় শুধু মাত্র শৃংখলা ভংগ হবার কারণেই একটি সুন্দর অনুষ্ঠান ঠিক মত সম্পন্ন করা হয়ে ওঠে না। এ সকল অনুষ্ঠানে অ্যাডমিনদের নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে ও প্রতিটি পদক্ষেপে নিজে দ্বায়িত্ব নিয়ে কাজ গুলো সম্পন্ন করতে হবে যেন গোটা অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠভাবে শেষ হয় সেই সাথে শিক্ষকদের দ্বায়িত্ব তাদের নিজ নিজ Department এর শিক্ষার্থীদের দ্বায়িত্ব নিয়ে তাদেরকে সঠিক ভাবে Guideline দেয়া যেন তারা কোন ধরণের বিশৃংখলা ও অরাজকতা সৃষ্টি না করে। শৃংখলা একটি অনুষ্ঠানের জন্য অনেক বড় একটি অংশ আর শত বার বলার পরেও কিছু শিক্ষার্থী সব সময় থাকেই যারা চেষ্টা করে সেই শৃংখলা ভংগ করার এবং সেখান থেকে সুবিধা নেবার তাই সকল অ্যাডমিন ও Faculty দের মূল দ্বায়িত্বই হচ্ছে সম্মিলিতভাবে একটি অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করা যেন ঐ সকল শিক্ষার্থীরা কোন ধরণের কোন সুযোগ না পায়। শিক্ষার্থীদের যদি কোন অভিযোগ থাকে কোন অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাহলে যেন তারা বিশৃংখলা সৃষ্টি না করে উপযুক্ত কতৃপক্ষকে জানায়, এই বিষয়গুলো তাদেরকে বুঝিয়ে বলতে হবে। কোন অনুষ্ঠান শেষে যদি শিক্ষার্থীরা এ ধরণের অরাজকতা তৈরী করে তবে শিক্ষকদের এগিয়ে এসে তাদেরকে থামাতে হবে এবং সঠিক Guideline দিতে হবে। অ্যাডমিনদের থেকে শিক্ষকেরাই শিক্ষার্থীদের সব থেকে কাছের মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কথার গুরুত্ব দেয় বেশী যার কারণে এসকল ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অংশগ্রহণ ও সম্মুখ ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক

প্রতিটি শিক্ষার্থীর ছাত্রজীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হচ্ছে তার সাথে তার শিক্ষকের সম্পর্ক। এটি অত্যান্ত জরুরী একটি বিষয় কারণ এই সম্পর্কের উপর নির্ভর করে ঐ শিক্ষার্থী তার শিক্ষকের কাছ থেকে কি শিখতে পারছে সেটি। আর এই সম্পর্কটি গড়ে ওঠে ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে। একজন শিক্ষককে সর্বদাই বুঝতে হবে তার ছাত্র-ছাত্রীরা তার কাছ থেকে কি ধরণের ব্যবহার ও সহযোগিতা আশা করে। একজন শিক্ষকের অনেক বড় বড় ডিগ্রি, সার্টিফিকেট থাকতেই পারে, তিনি অনেক বড় যায়গা থেকে শিক্ষকতা করে আসতেই পারেন, সমাজে তার আরো অনেক বড় বড় সম্মানিত পদবী থাকতেই পারে কিন্তু একজন শিক্ষার্থীর নিকট তার একমাত্র পরিচয় হচ্ছে তিনি শিক্ষক আর অন্য কিছুই নয়। তিনি যখন শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করবেন তখন তার সকল ডিগ্রি, সার্টিফিকেট, অভিজ্ঞতা, পদবী ও সর্বোপরি অহংকারকে শ্রেণীকক্ষের বাহিরে রেখে আসতে হবে কারণ এগুলো সাথে নিয়ে কখনই একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীর কাছাকাছি যেতে পারবেন না। শিক্ষককে হতে হবে তার ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট বন্ধুর মত। একজন শিক্ষার্থীকে শুধু মাত্র Academic পড়াশোনা শেখানোই একজন শিক্ষকের দ্বায়িত্ব নয় বরং সেই শিক্ষার্থীর সকল প্রকার মানসিক বিকাশ ঘটানো, সামাজিক সমস্যার সমাধান করা এবং সেই শিক্ষার্থীর অভ্যন্তরীণ সুপ্ত প্রতিভাকে চিহ্নিত করে সেটিকে বাহিরে বের করে এনে তাকে তার সঠিক ক্যারিয়ার জীবন গঠণের দিক নির্দেশনা দেয়া এ সব কিছুই তার দ্বায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। এ সব কিছু একমাত্র তখনই সম্ভব যখন একজন শিক্ষক তার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছাকাছি এসে তাদের মনের মাঝে বিশ্বাসের আসনটি অর্জন করতে পারবেন। আর এই অর্জনটি তার সকল ডিগ্রি, সার্টিফিকেট, অভিজ্ঞতা ও পদবীর থেকেও অনেক সম্মানের, অনেক গৌরবের।

শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নশীলতা

অনেক শিক্ষক আছেন যারা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরর প্রতি যত্নশীল না। ক্লাসে তারা কি পড়ছে, কি শিখছে, যা শিখছে তার প্রতিফলন তাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগছে কিনা এগুলো নিয়ে তাদের কোনই মাথা ব্যথা নেই। তারা শুধু মাত্র ক্লাসে আসেন ও Syllabus অনুযায়ী পড়িয়ে আবার বাসায় চলে যান। এ ধরণের শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের শেখার কিছুই নেই। শিক্ষকদের অবশ্যই শুধু মাত্র Syllabus এর মধ্যে সীমাবন্ধ না থেকে শিক্ষার্থীদের জীবনমুখী শিক্ষা ও ব্যবহারিক জ্ঞানের সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানান রকম শিক্ষনীয় সভা, সেমিনার, অনুষ্ঠান, Workshop ইত্যাদীর আয়োজন হয় যার দ্বারা Academic শিক্ষার বাহিরে শিক্ষার্থীরা তাদের Career ও জীবন গঠণে সহায়ক শিক্ষা পেয়ে থাকে। একজন শিক্ষকের উচিত তার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এ সকল অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য উৎসাহিত করা এবং এগুলোর গুরুত্ব সম্পর্কে তাদেরকে বোঝানো। শিক্ষার্থীদেরকে নানান রকম Extra-curricular কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্যও শিক্ষকদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত কারণ এ ধরণের কার্যক্রম দ্বারা শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীন সুপ্ত প্রতিভাগুলো বের হয়ে আসে এবং এটি একজন শিক্ষকের দ্বায়িত্ব তার শিক্ষার্থীদের মেধাকে বের করে এনে সেগুলো সঠিক কাজে লাগানোর জন্য তাকে অনুপ্রাণীত করা। 

নেগেটিভ মন মানসিকতা

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা কিন্তু এই শিক্ষার্থীদের কখনই কোন সার্ভিস দ্বারা ১০০% সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয় কারণ এখানে নেগেটিভ ও পজিটিভ মনমানসিকতার দুই ধরণেরই মানুষ আছে। উদাহরণ স্বরুপ যদি আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের Laptop Project, Transport Facility এর ব্যাপারে বলি তবে আমরা দেখতে পাবো যে আমরা শিক্ষার্থীদেরকে প্রতি বছর বিনামূল্যে ল্যাপ্টপ দিয়ে আসছি যা কিনা দেশের কোন ইউনিভার্সিটিই কখনো করে না কিন্তু এই ল্যাপ্টপ দিয়েও আমরা তাদেরকে সন্তুষ্ট করতে পারি না কারণ তাদের নানান রকম অভিযোগ থাকেই। একই ঘটনা ঘটে Transport Facility এর ক্ষেত্রেও অর্থাৎ এ ধরণের কিছু মানুষ থাকেই যারা সব কিছুতেই শুধু Negetivity বের করার চেষ্টা করে। আমরা এদেরকে বিশ্বের সব থেকে সেরা প্রোডাক্ট দিলেও তারা এর থেকে খুঁত বের করার চেষ্টা করবে কিন্তু তাই বলে তো আমরা আমাদের সেবা বন্ধ করে দিতে পারি না। শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও মতামত গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে আমাদের উচিত নিজেদের আরো বেশী করে Develop করা যেন কেউ কোন ধরণের Negetivity ছড়ানোর সুযোগ না পায়।

পজিটিভ চিন্তা-ভাবনা

আর্ট অফ লিভিং থেকে প্রাপ্ত একটি বড় শিক্ষা হচ্ছে সব সময় অন্যকে দোষ না দিয়ে নিজেকে পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে তুলনা করে সব কিছু বিচার বিশ্লেষন করা। আমাদের অনেক শিক্ষার্থীদেরই আমাদের অনেক Survice নিয়ে নানান রকম অসন্তুষ্টি ও অভিযোগ আছে। আর অভিযোগ থাকতেই পারে। কোন মানুষকে কখনই ১০০% সন্তুষ্ট করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু যারা সব সময় অভিযোগ করে তাদের উচিত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সাথে তুলনা করে তারপর ভেবে দেখা যে তাদের তুলনায় আমরা শিক্ষার্থীদের কি পরিমাণ সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি এবং নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি তাদের সকল চাহিদা পূরণ করতে। আমরা আর্ট অফ লিভিং Subjectটি শুধুমাত্র একটি Credit সম্পন্ন Subject হিসেবে পড়াই না। আমরা এই Subject টির সূচনা করেছি যেন আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে আচার-আচরণ ও নৈতিকতায় অন্যান্য সকল ইউনিভার্সিটির থেকে সেরা হিসেবে গড়ে তুলতে পারি যেন তারা অন্যদের মত শুধু অভিযোগ না করে সব কিছুকে বাস্তবতা, যুক্তি ও পরিস্থিতির সাথে তুলনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা কেন আমাদের শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে Foundation Day, Convocation Day, Parents Day মত এত বড় বড় আয়োজনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করি? কেন আমরা আশুলিয়াতে এত বড় জায়গা ও মাঠ জুড়ে আমাদের ক্যাম্পাসটি তৈরী করেছি? এগুলো তো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার মধ্যে পড়ে না এবং আমরাও শিক্ষার্থীদের কাছে দায়বদ্ধ নই এগুলো করতে কিন্তু তার পরেও আমরা ঝুকি নিয়ে এসব করছি শুধু মাত্র আমাদের শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে যেন তারা গর্ব করে বলতে পারে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় তাদেরকে কোন ধরণের সুযোগ সুবিধা থেকে কখনো বঞ্চিত করেনি। আমরা যখন তাদের জন্য এত কিছু করছি, বিনিময়ে কি আমরা তাদের থেকে একটু সহযোগিতা, একটু ধৈয্য আশা করতে পারি না? আমরা সর্বদাই আমাদের যে কোন অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ভুল স্বীকার করি ও শিক্ষার্থীদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা পূর্বক সুযোগ চাই যেন আমরা পরবর্তিতে সেই ভুল গুলোকে শুধরে নিজেদেরকে আরো বেশী করে Develop করি যেন সেই ভুল গুলোর আর পুনরাবৃত্তি না হয়। যার কারণে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘Social Media & Student’s Voice Forum’ তৈরী করেছি যেন শিক্ষার্থীরা সেখানে তাদের সকল সমস্যার কথা ঠিক ভাবে প্রকাশ করতে পারে এবং আমরাও সঠিক মাধ্যমে সেগুলো হাতে পেয়ে সমাধানে নামতে পারি। 

শেষ কথা

একটি বিশ্ববিদ্যালয় কখনই একা শিক্ষার্থীরা চালাতে পারে না, একা শিক্ষকরা চালাতে পারে না এবং একা অ্যাডমিনরাও চালাতে পারে না। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে একটি বিশ্ববিদ্যালয়। যার কারণে সকলেই সকলের নিকট প্রত্যাশা করে সুন্দর ব্যবহার, পরিপূর্ণ সহযোগিতা ও সর্বোচ্চ সেবা। কিন্তু এই সব কিছু একমাত্র তখনই সম্ভব হবে যখন প্রত্যেকেই তাদের নিজেদের মধ্যে আর্ট অফ লিভিং এর শিক্ষাটি গভীর ভাবে ধারণ করবে। শুধু মাত্র এক পক্ষ এটা মেনে চললে হবে না। আর্ট অফ লিভিং যেমন শিক্ষার্থীদের জানতে হবে ঠিক তেমনি জানতে হবে সকল অ্যাডমিনদের ও শিক্ষকদেরও কারণ শিক্ষার্থীরা কখনই একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আপন ভাবতে ও ভালবাসতে পারবে না যদি অ্যাডমিন ও শিক্ষকেরা তাদেরকে আপন না ভাবে। এক সময় শিক্ষার্থীরা Graduation শেষে নানান রকম দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠানের অ্যাডমিন ও Facultyতে যোগদান করবে। শিক্ষার্থীরা যদি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিন ও শিক্ষকদের কাছ থেকে সুন্দর ও Professional ব্যবহার পায় তবে এই শিক্ষা থেকে তারা নিজেরাও নিজেদেরকে তাদের Professional Life এ একজন যোগ্য ও সফল কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে অন্যথায় শিক্ষার্থীরা যত অ্যাডমিন ও Facultyদের কাছ থেকে অবহেলা ও হয়রানির স্বীকার হবে তত তারা মানসিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে সরে যাবে ও বাহিরের কুমন্ত্রনায় মেতে উঠবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নানান রকম অনৈতিক কাজে। আমার বিশ্বাস, আমাদের শিক্ষার্থীরা যখন সফলভাবে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে তাদের Career গড়ে তুলতে সক্ষম হবে, একমাত্র তখনই তারা অনুধাবন করতে পারবে যে আমরা তাদেরকে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান ও সঠিক ভাবে গড়ে তোলার জন্য কতটা পরিশ্রম ও আত্মনিয়োগ করেছিলাম। আর আমাদের নিরলস প্রচেষ্টার বিনিময়ে এটিই আমাদের সার্থকতা। তাই সর্বোপরি, সকলে মিলে এক জোট হয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আর্ট অফ লিভিং এর শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *