Brief Concept of Virtual Coaching

Brief Concept of Virtual Coaching

কোচিং শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশী বেশ ভাল ভাবেই পরিচিত, বিশেষ করে যারা শিক্ষার্থী আছে। এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে কোচিং বিষয়টি খুব ভাল ভাবেই জড়িয়ে আছে যার কারণে জন্মের পর থেকে তার গ্রাজুয়েশন শেষ করা এমন কোন ছেলে বা মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যাকে এই ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি। তবে আমরা সকলেই জানি যুগের পরিবর্তন হচ্ছে। নানান রকম টেকনোলজী আবিষ্কারের মাধ্যমে এখন অনেক কিছুই মানুষের জন্য সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। আর এর মধ্যে শিক্ষা হচ্ছে একটি অন্যতম উপাদান। আমরা যদি কোচিং এর কথাতেই আসি তবে আমরা দেখবো আগে শিক্ষার্থীদেরকে নানান রকম বিষয়ে জ্ঞান লাভ করার জন্য যেতে হত শিক্ষকের বাসায়, স্কুল-কলেজের কোন নির্দিষ্ট ক্লাসে অথবা কোন বিশেষ কোচিং সেন্টারে। কিন্তু এখন এই অনলাইনের যুগে আজ সব কিছুই চলে এসেছে শিক্ষার্থীদের নিজের ঘরে, তার পড়ার টেবিলে। আর একেই বলে Virtual Coaching। 

What is Virtual Coaching?

সংক্ষেপে, এটি একটি ব্যক্তিগত-কোচিং কথোপকথন যা একটি ওয়েব-ভিত্তিক ভিডিও কনফারেন্সিং সার্ভিস জুড়ে পরিচালিত হয় যা ভিডিও চ্যাট হিসাবেও পরিচিত। এই সিস্টেমের মাধ্যমে একজন বা একাধিক ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে সুবিধাজনক সময়ে কোন একটি বিষয়ে দক্ষ একজন ব্যক্তির সাথে অনলাইনে সরাসরি কথা বলার মাধ্যমে তাদের কাংক্ষিত তথ্য ও জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হবে। এই দক্ষ ও পরামর্শ প্রদানকারী ব্যক্তিটিকে বলা হয় Virtual Coach। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন পুরনো ফরম্যাটকে ভেঙ্গে অনলাইন বা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মকে বেছে নেয়া হলো?

Why Is It Virtual?

এখনকার এই আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তি চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। মানুষের শিক্ষা, চাকরী, ব্যবসা এবং সর্বোপরি তাদের স্বতন্ত্র জীবনধারা সব কিছুই এখন প্রযুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সেই সাথে প্রযুক্তির কল্যাণে এখন এগুলো আগের থেকে অনেক সহজও হয়ে গেছে। স্কাইপ, জুম ও নানান প্রকার Online Communication Platform আবিষ্কারের কারণে ভিডিও প্রযুক্তিতে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। মোবাইল প্রযুক্তি এবং ডেটা নেটওয়ার্কগুলির মাধ্যমে এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা যে কোনও জায়গায়, যে কারো মুখোমুখি কথা বলার সুবিধা লাভ করছি। এই প্রযুক্তি গুলো সারা বিশ্বের মানুষদেরকের এক সুত্রে বেধে নিয়েছে। 

শিক্ষাজগতে ই-লার্নিং প্রযুক্তির আবিষ্কারের ফলে মানুষেরা এখন ঘরে বসে তাদের কাংক্ষিত বিষয়সমূহ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। আমরা জানি এখনকার যুগের প্রজন্মটি তাদের জন্মের পর থেকেই বেড়ে উঠছে ইন্টারনেটে সময় কাটিয়ে। তাদের পছন্দ, রুচি, জ্ঞান সব কিছুই ছোটবেলা থেকেই অনেক বেশী আপডেট কারণ তারা আধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে ব্যবহার করে অভ্যস্থ। তাদেরকে কখনই সেই পুরনো আমলের শিক্ষা ব্যবস্থা, ক্লাসরুম, বাসায় গিয়ে কোচিং করা ইত্যাদীর মধ্যে বেধে রাখা যাবে না। তাই তাদেরকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষাকেই আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্য ঘটিয়ে তাদেরকে আকৃষ্ট করতে হবে। 

The Potentiality of Virtual Coaching

ভার্চুয়াল কোচিং তাই এখন অনেক বড় একটি সম্ভাবনাময় একটি প্লাটফর্ম। একটি মানুষের দৈনন্দিন প্রায় সকল খুটিনাটি বিষয় সম্পর্কে এখন অনলাইনে কোচিং ব্যবস্থা রয়েছে যা থেকে সকলে Health & Fitness থেকে শুরু করে Dating & Relationship, Business & Money থেকে শুরু করে Spirituality & Hobbies এবং আরো অগণিত বিষয় সম্পর্কে ঘরে বসেই জ্ঞান লাভ করতে পারে। একটি জরিপ থেকে জানা গেছে শুধু Life & Business নিয়েই প্রায় আনুমানিক ১ লাখ Virtual Coach রয়েছে যারা প্রতি বছর ১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে। International Coach Federation (ICF) এর একটি গবেষণা অনুযায়ী কোচরা প্রতি ঘন্টা ২০০ ডলারেরও বেশি চার্জ নেয় এবং বেশিরভাগ সময় Part Time কাজ করে। Virtual Coaching এখন এতটাই জনপ্রিয়তার সাথে বেড়ে চলেছে যে ওয়ার্টন বিজনেস স্কুল এবং হার্ভার্ডের অনুমোদিত ব্যক্তিরা এখন কোচিং ক্লাস অফার করছে।

Influence on Human Life

কোচিংয়ের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে কারণ মানুষের জীবনে যে হারে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে সেই হারে তাদেরকে নানান বিষয়ে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য সোশাল সার্ভিস ও সাপোর্ট বাড়ছে না। যার কারণে মানুষেরা এখন কম সময়, খরচ ও খাটনীতে তাদের কাংক্ষিত সেবা পাবার উদ্দেশ্যে অনলাইনের দ্বারস্থ হচ্ছে। আর এখানেই একজন ভার্চুয়াল কোচের গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা। একজন ভার্চুয়াল কোচ চাইলেই একই সময়ে লাখ লাখ মানুষের কাছে তাদের একজন Professional Friend হিসেবে আবির্ভুত হতে পারছে। তাদের নানান রকম সমস্যার সমাধান সম্পর্কে Guideline দিতে পারছে যা তার দ্বারা কখনই সকলকে মুখোমুখি বসে দেয়া সম্ভব হত না। অনেক ক্ষেত্রে এই কোচেরা পরামর্শদাতা ও থেরাপিস্টেরও কাজ করছে কারণ তাদের দেখানো Instruction ও Guideline গুলো অনুসরণ করে অনেকেই তাদের জীবনে সামনে এগিয়ে চলেছে। 

তাই সেই দিন খুব একটা বেশী দূরে নয় যখন ধীরে ধীরে গোটা শিক্ষাব্যবস্থাটাই চলে আসবে Vertually। তখন জ্ঞান ও শিক্ষা লাভে কোন সীমাবদ্ধতা থাকবে না। যার ফলে মানুষ তাদের পছন্দের বিষয়গুলো বেছে নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে। সেই সাথে সেই শিক্ষাকে তাদের কর্মজীবনে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতেও সক্ষম হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *