Bangladeshi Students Should Learn How To Build a Successful International Career
আজকের এই যুগে পৃথিবীতে যোগ্যতার সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হলে সব থেকে বেশী যে জিনিসটি দরকার সেটি হচ্ছে Skill বা দক্ষতা। একটি সময় ছিল যখন বিভিন্ন কোম্পানীতে চাকরীর বাজারে সার্টিফিকেটের মুল্যায়ন ছিল কারণ তখন প্রতি বছর হাতে গোণা কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী ভাল রেজাল্ট করতো এবং বিভিন্ন কোম্পানীতেও চাকরীর বাজারে এগিয়ে থাকতো তারাই। কিন্তু বর্তমানে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার যে ফরম্যাট চলছে তাতে প্রতি বছর দেশে প্রচুর সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী ভাল রেজাল্ট নিয়ে বের হচ্ছে কিন্তু যেহেতু সকলের হাতেই এখন ভাল রেজাল্ট ও Highest Grade এর সার্টিফিকেট তাই বিভিন্ন কোম্পানী এখন শুধু মাত্র তাদেরকেই চাকরী বাজারে বেছে নিচ্ছে যাদের মাঝে সঠিক কর্ম দক্ষতা আছে। যার কারণে শুধু ভাল রেজাল্টের বদৌলতে এখন আর চাকরী বাজারে কেউ এগিয়ে থাকতে পারছে না। যার Skill বা কর্মদক্ষতা আছে, সেই পেয়ে যাচ্ছে কাংক্ষিত চাকরীর সুযোগ।
আমাদের দেশের তরুণদের প্রধাণ অভিযোগ হচ্ছে বাজারে চাকরী নেই। আবার বিভিন্ন কোম্পানীর ভাষ্যমতে তাদের Job Vacancy আছে কিন্তু বাজারে Skilled Candidate নেই। মূলত, আমাদের দেশের তরুণদের প্রধাণ সমস্যা হচ্ছে তারা শিক্ষাজীবনে ঠিক মত পড়াশোনাটা না করার কারণে তাদের ঐ বিষয়ে কোন Subject Knowledge তৈরী হয় না। তাদের পড়াশুনার মূল পদ্ধতিটাই থাকে কিভাবে Short Suggestion মুখস্থ করে কোন ভাবে একটি ভাল CGPA পাওয়া যায়। যার কারণে Graduation এর পর তারা তাদের ৪/৫ বছরের Honours/Masters শিক্ষাজীবনে কি কি শিক্ষা অর্জন করেছে তার কোন কিছুই তখন তাদের মাথায় থাকে না। অতঃপর চাকরীতে আবেদনের সময় দেখা যায় যে তারা তাদের Subject বা Track পরিবর্তন করে অন্য একটি সম্পূর্ণ নতুন Sector এ আবেদন করে। আর এর প্রভাব গিয়ে পড়ে Interview Board এ। একটি Interview নিতে বসলে দেখা যায় তরুণদের কতো উদাসীনতা। Job Market, Company, Product কিচ্ছু না দেখে, না জেনেই ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী Interview দিতে চলে আসে। যার কারণে প্রশ্নকর্তা তাকে তার Subject Knowledge থেকে প্রশ্ন করলে সে উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়, আবার যে পোস্টে সে আবেদন করেছে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করলেও সে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে ছাত্রজীবনে তার নিজস্ব কোন Skill Develop করা না থাকায় সেটাও সে প্রশ্নকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে পারে না। সুতরাং দিন শেষে ভাল CGPA থাকার পরেও এ ধরণের তরুণরা বেকার হয়েই ঘুরে বেড়ায় আর দোষ দেয় মার্কেটের, যে মার্কেটে জব নেই।
এছাড়াও তরুণদের এই পিছিয়ে পড়ার পিছনে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাও অনেকাংশে দায়ী। এখনও এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী শিক্ষা ও Job Market এর জন্য প্রস্তুত করার মত করে উন্নত হতে পারেনি। এখনো অধিকাংশ শিক্ষকেরা নিজ নিজ ধ্যান-ধারণা ও Syllabus এর মধ্যেই আবদ্ধ হয়ে রয়েছেন। তারা নিজেরা Out of The Box চিন্তা করছেন না বলে তাদের শিক্ষার্থীদেরকেও Out of The Box চিন্তা করতে শেখাতে পারছেন না। তারা শিক্ষার্থীদেরকে শুরু থেকেই Job Market সম্পর্কে আইডিয়া না দিয়ে ও তাদেরকে সেই অনুযায়ী কর্মমুখী শিক্ষা না দিয়ে শুধুমাত্র পাঠসূচীতেই ব্যস্ত থাকছেন বলে শিক্ষার্থীরাও চিন্তা করছে কিভাবে Short Suggestion মুখস্ত করে পরীক্ষায় পাস করে একটা ভাল CGPA নিয়ে বের হওয়া যায়। আর এভাবেই Domino Effect এর মত করে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে Job Market এ আমাদের দেশ দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে সারা বিশ্বের থেকে। এদিকে অবাক করা হলেও সত্য যে, আমাদের দেশের তরুণেরা যেখানে চাকরী সংকটে ভুগছে সেখানে বর্তমান বিশ্বকে নিয়ন্ত্রন করা অধিকাংশ International Company গুলোর Leading Position গুলো ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাচ্ছে আমাদেরই প্রতিবেশীদের দ্বারা। Google, Twitter, Microsoft, Adobe Inc, IBM, FedEx, Starbucks ইত্যাদী International Company গুলো যা আজ গোটা বিশ্বকে শাসন করছে, সেই সকল কোম্পানীর ‘CEO’ Position গুলোতে রয়েছে ভারতীয়দের আধিপত্ত।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে UK, America, Chaina, Japan ইত্যাদী দেশ ছেড়ে কেন আমাদেরই প্রতিবেশী ভারত থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গিয়ে সফলতার শিখরে উঠেছে ভারতীয়রা? একটি কথা আমরা কখনোই অস্বীকার করতে পারবো না যে আমাদের থেকে ভারত শিক্ষা, কর্মসংস্থান, অর্থনীতি সহ নানান দিক থেকে দিন দিন তুমুল গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এই কথার পরিপ্রেক্ষীতে আমরা যদি একটি পরিসংখ্যান দেখি তবে আমরা পাবো, ভারতীয় অভিবাসীরা আমেরিকান অধিবাসী এবং অন্যান্য বিদেশী অভিবাসীদের চেয়ে শিক্ষার হারের দিক থেকে অনেক বেশি এগিয়ে আছে। ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ বছর বয়সী ভারতীয় অভিবাসীদের প্রায় ৭৯% এর কমপক্ষে একটি স্নাতক ডিগ্রী রয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকার অধিবাসী বা অন্যান্য দেশ থেকে আসা একই বয়সের অভিবাসী নাগরিকদের মাত্র ৩৩% এর স্নাতক ডিগ্রী রয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষায় ভারতীয়রা দিন দিন আমেরিকা এবং অন্যদেরকে অনেক পিছনে ফেলছে। ভারতীয়দের শিক্ষাব্যবস্থা ও কারিকুলাম বিশ্বমানের। সেখানে যে ধরণের পড়াশুনা হয়, তাতে সেখানকার তরুণরা শিক্ষাজীবন থেকেই নানান ধরণের Skill Development এর মাধ্যমে ভবিষ্যত Job Market এর জন্য প্রস্তুত হয়। যার কারণে তারা শিক্ষাজীবন শেষে খুব সহজেই দেশে ও বিদেশের বড় বড় কোম্পানীতে নিজ যোগ্যতায় একটি অবস্থান তৈরী করে নিতে সক্ষম হয়।
চলুন এই International Job Market এ ভারতীয়দের অবস্থানটি দেখে নেয়া যাক। আমেরিকার চাকরীর বাজারে ভারতীয়দের অবস্থান স্বয়ং Native American দের চেয়েও অনেক বেশি। ১৬ কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সী ভারতীয়দের কমপক্ষে ৭২% আমেরিকার শ্রম শক্তিতে অবদান রাখছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আমেরিকায় আসা মানুষদের ক্ষেত্রে এই হার ৬৭%। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকার প্রায় দশ লাখ চিকিৎসকদের মধ্যে প্রায় ৯% ভারতীয়। আর এটা বলাই বাহুল্য যে Management, Business, Science এবং Arts সংক্রান্ত পেশাগুলোর বড় বড় পদেও আমেরিকানদের সরিয়ে আধিপত্ত অর্জন করছে এই ভারতীয়রাই। সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে ভারতীয়রা তাদের নিজ যোগ্যতায় শুধু ভারতেই নয় বরং গোটা বিশ্বে তাদের নাম ছড়িয়ে দিচ্ছে আর এ থেকে বাদ যাচ্ছে না বাংলাদেশেও। বর্তমানে বাংলাদেশের বড় বড় কোম্পানীতেও ভারতীয়রা বেশ ভাল বেতনে চাকরী পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও দেখা যাবে বাংলাদেশের Job Market একটি সময় চলে যাবে অন্যদের দখলে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন ও কিভাবে আমাদেরই প্রতিবেশী দেশ হয়ে ভারত এগিয়ে যাচ্ছে সকল দিক থেকে দূর্বার গতিতে আর আমরা ক্রমাগত শুধু পিছিয়েই পড়ছি? এই প্রশ্নের মূল কারণ ও এই সমস্যার একমাত্র সমাধান রয়েছে আমাদের দেশের তরুণদের হাতে। একটি দেশের সব থেকে বড় জনশক্তি হচ্ছে সেই দেশের তরুণেরা। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা লক্ষ্য করছি যে, তরুণদের যে বয়সে জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর সময়, যে বয়সে তরুণরা Innovation নিয়ে আলোচনা করবে, Entrepreneur হবে, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে লড়াই করে নিজের তারুণ্য প্রমাণ করবে তার পরিবর্তে বর্তমানে ৯৯% তরুণ তরুণী কিংবা ছাত্র ছাত্রীরা ভুল কালচার, গান-বাজনা ও পশ্চিমা অপসংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরছে। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও তারা পশ্চিমাদের Non-culture নিয়ে পড়ে রয়েছে। আর এইসব নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে তারা তাদের পড়াশোনা ও Skill Development এর প্রতি অবহেলা করছে। তাদের সকল প্রকার আগ্রহ এখন শুধুমাত্র একটি ভাল মানের সার্টিফিকেটের প্রতি। আর আগেই বলেছি, এভাবে চলার কারণে এর ফল তাদের ভুগতে হচ্ছে পড়াশোনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে। কিন্তু এতকিছুর পরেও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সার্টিফিকেট কেন্দ্রীক পড়াশোনা পরিহার ও নিজেদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যার কারণে আজও প্রতি বছর হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী গ্রাজুয়েশন শেষে বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে একটি সময় আমাদের এই দেশের ভবিষ্যত বলে আর কিছুই থাকবে না। কারণ আজকের এই তরুণ সমাজ যারা আমাদের দেশের আগামীর ভবিষ্যত, তারা যদি অদক্ষ হয় এবং শুধু মাত্র সার্টিফিকেটের জোরে চাকরীর আশায় বসে থাকে তবে এদের দ্বারা কোন দিনই দেশের কোন উন্নতি সাধন হবে না।
পাশাপাশি আমরা যদি ভারতীয়দের লাইফস্টাইল নিয়ে কথা বলি তবে আমরা দেখবো তারা আমাদের তুলনায় অনেক দিক থেকে স্বাস্থ্যসচেতন। আমরা জানি যে যোগ ব্যায়াম ও মেডিটেশনের বিষয়টি ভারতে কতটা প্রসিদ্ধ ও সর্বজন চর্চিত। সেখানকার মানুষেরা, যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা এ সকল অভ্যাসগুলোকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হিসেবে গড়ে তুলেছে। তারা নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে উঠে, হালকা যোগ ব্যায়াম বা মেডিটেশন করে, নিয়মিত পার্কে হাঁটতে যায়, জগিং করে, জিমে এক্সারসাইজ করে ইত্যাদী। এমনকি সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবেও এই অভ্যাসগুলো সর্বসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দেবার জন্য সর্বদাই অনুপ্রেরণা দেয়া হয়। অন্যদিকে আমাদের দেশের তরুণ সমাজের একটি প্রধাণ সমস্যা হচ্ছে তারা স্বাস্থ্য সচেতন নয়। তাদের দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় অভ্যাসের মধ্যে সব থেকে ক্ষতিকর অভ্যাসটি হচ্ছে তারা সঠিক সময়ে ঘুমাতে যায় না ও সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠে না।
আমরা জানি সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে দিন সৃষ্টি করেছেন মানুষের কাজ করার জন্য ও রাত সৃষ্টি করেছেন সারা দিনের কাজের পর বিশ্রাম গ্রহণের জন্য। এই সিস্টেমটিই মানুষের শরীর ও মনকে সুস্থ, সতেজ ও কর্মক্ষম রাখে। অন্যদিকে আমাদের অধিকাংশ তরুণদের অভ্যাস হচ্ছে রাত জাগা ও দিনের বেশীর ভাগ সময়টা ঘুমিয়ে কাটানো। তাদের মধ্যে কেউ রাতের বেলা নানান প্রকার কাজ বা পড়াশোনা করতে পছন্দ করে আবার অনেকে রাত জেগে অযথা অপ্রয়োজনীয় কাজে, সোশাল মিডিয়ায় বা ফোনে কথা বলে সময় নষ্ট করে। আর এই রাতের ঘুমটি কভার করার জন্য তারা ভোরে উঠতে পারে না বা সারা দিন ঘুমিয়ে কাটায়। এই অভ্যাসটি পরবর্তীতে তাদের কর্মক্ষমতায় অনেক বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাদের ঘুম ঠিকমত হয় না, সর্বদা ক্লান্তি অনুভব হয়, মন-মেজাজ ভাল থাকে না ইত্যাদী সমস্যায় তারা ভুগতে থাকে। এই সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠার জন্য অবশ্যই একটি সুস্থ লাইফস্টাইল তৈরী করাটা জরুরী। সময়মত রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে খুব সহজেই ভোরে ঘুম থেকে উঠা সম্ভব আর কেউ যদি ভোরে ঘুম থেকে উঠে তার প্রয়োজনীয় কাজ বা পড়াশোনা করে তবে তা অনেক বেশী কাজে দেয় কারণ তখন শরীর ও মন সতেজ থাকে যার ফলে তখন ব্রেন খুব শার্প কাজ করে।
আমরা যদি Corporate Culture এর কথা বলি তবে আমরা দেখবো যে আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে কাজ করার থেকে কথা বেশী বলার প্রবনতা সব থেকে বেশী। তারা নিজে কাজ করার বদলে ব্যস্ত থাকে আশেপাশের মানুষদের নানান রকম সমালোচনা করতে। যে কোন বিষয়ে তারা শুধু বড় বড় কাল্পনিক আইডিয়া প্রদান করে ফোকাসে থাকতে পছন্দ করে কিন্তু যখন প্রশ্ন আসে সেই আইডিয়াগুলোকে বাস্তবায়নের তখন আর তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সব কারণে তারা নিজেরা কখনো তাদের ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে পারে না, যার ফলে আশে পাশের মানুষদের উন্নতিতে তারা ঈর্ষান্বিত হয় এবং চেষ্টা করে তাদের কাজ গুলোকে কিভাবে বাধাগ্রস্থ করা যায়। এই ধরণের মানুষেরা ও তাদের এই ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো প্রতিনিয়ত Corporate জগতটাকে কলুষিত করে দিচ্ছে। অথচ এরাই যদি নিজেদের কাজে মন দিত, অন্যদের সমালোচনা বাদ দিয়ে নিজের কাজগুলোর ত্রুটিগুলোকে খুঁজে বের করে সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করতো আর নিজেদের মধ্যে Leadership মনমানসিকতা তৈরী করে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যে কোন কঠিন আইডিয়া বাস্তবায়নে সবার আগে এগিয়ে আসতো তবে হয়তো তারাও নিজ যোগ্যতায় একদিন অর্জন করে নিতে পারতো কোন এক ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানীর একটি সম্মানজনক আসন।
সুতরাং আমাদের মনে প্রশ্ন ছিল যে ভারত ও ভারতীয় তরুণেরা কেন ও কিভাবে আমাদের থেকে এগিয়ে যাচ্ছে ? কারণ ভারতের তরুণেরা এই সকল প্রকার সমস্যাগুলোকে কাটিয়ে উঠতে পারছে বলেই তারা আজ বিশ্ব দরবারে স্বনামধন্য অবস্থানে পৌছাতে সক্ষম হচ্ছে। তাই ভারতীয়দের উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, তাদের তরুণদের নিরলস উদ্যম, প্রচেষ্টা ও লাইফস্টাইল থেকে আমাদের দেশের তরুণদের অবশ্যই অনেক কিছু শেখার আছে। যে সকল ভারতীয় CEO বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানীর হাল ধরেছেন, তাদের সফলতার পিছনের গল্পটা খুঁজে পেলে আমরা দেখবো কতটা নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে হাজারো প্রতিকূলতা, বৈষম্যতা ও কঠোর দারিদ্রতাকে অতিক্রম করে সম্পূর্ণ নিজ যোগ্যতায় সকল প্রকার অসম্ভবকে সম্ভব করে তারা আজ সফলতার শীর্ষে পৌছাতে পেরেছেন। এ সকল সফল মানুষদের জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখতে পারি। তাই জীবনে সফল হতে হলে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলার সময় অসম্ভব কথাটিকে ভুলে যেতে হবে। সঠিক শিক্ষা অর্জন, দক্ষতা বৃদ্ধি, সময়ের স্বদব্যবহার ও কঠোর পরিশ্রম এই ৪টি পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশের তরুণদের জীবনের পথে এগিয়ে যেতে হবে। একমাত্র তবেই এই তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে আমাদের দেশটি একদিন বিশ্বদরবারের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।